বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দেশের ৯টি রাজ্য এবং ৩টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে জোরকদমে চলছে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা এসআইআর প্রক্রিয়া। ভোটার তালিকা সংশোধন করতে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ফর্ম বিতরণ করছেন BLO-রা। এই সময় অনেকেই আশঙ্কা করছেন, তালিকা থেকে নাম বাদ পড়লে কি নাগরিকত্বে কোনও প্রভাব পড়বে? সেই আতঙ্ক দূর করতে সুপ্রিম কোর্টে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।
সুপ্রিম কোর্টে কী জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)?
নির্বাচন কমিশন (Election Commission) জানিয়েছে, এসআইআর (SIR) এবং নাগরিকত্ব, এ দুটি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। ভোটার তালিকায় নাম না থাকলে কোনও নাগরিকের নাগরিকত্ব বাতিল হয় না। কেউ নাম অন্তর্ভুক্ত করতে না পারলেও তাঁর নাগরিকত্ব অক্ষুণ্ণ থাকে। ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় নথিপত্র চাওয়ার অধিকার কমিশনের রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
এসআইআর (SIR) চলাকালীন কারও নাম বাদ পড়লে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কমিশনের (Election Commission) বক্তব্য, সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী যেমন ভোটার তালিকায় নাম তোলা যায়, তেমনই প্রক্রিয়া শেষে প্রয়োজনীয় নথি জমা দিয়ে নাম ফের যুক্ত করা সম্ভব।
ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন (Election Commission) ঘোষণা করেছে, এমুনারেশন ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ দিন ৪ ডিসেম্বর। হাতে বাকি মাত্র ১১ দিন। কমিশনের দাবি, ৯৮ শতাংশ ভোটারের কাছে ফর্ম পৌঁছে গিয়েছে এবং দ্রুতগতিতে চলছে সংগ্রহের কাজ। BLO-রা বাড়িতে গিয়ে ফর্ম সংগ্রহ করছেন। বাড়িতে কেউ না থাকলে তিনি তিনবার চেষ্টা করবেন ফর্ম দেওয়া ও জমা নেওয়ার। পরিবারের যে কোনও সদস্য ফর্ম জমা দিতে পারবেন। বাইরে থাকা ভোটাররা চাইলে EPIC কার্ডের সঙ্গে মোবাইল নম্বর লিঙ্ক করে অনলাইনেও ফর্ম পূরণ করতে পারবেন।
এদিকে অনেকেই অভিযোগ করছেন, ২০০২ বা ২০০৩ সালের পুরনো ভোটার তালিকায় পরিবারের সদস্যদের নাম খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই ক্ষেত্রে ফর্ম জমা দিলে জেলা নির্বাচন অফিসার নোটিশ দেবেন এবং শুনানির ব্যবস্থা করবেন। শুনানিতে স্কুল সার্টিফিকেট, আবাসিক সার্টিফিকেট, পাসপোর্ট বা জন্ম শার্টিফিকেটসহ কমিশন (Election Commission) নির্ধারিত ১০টি নথির যেকোনও একটি জমা দিতে হবে। তার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত হবে চূড়ান্ত তালিকায় নাম থাকবে কি না।

আরও পড়ুনঃ ৫৩তম সিজেআই হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন সূর্য কান্ত! আজ শপথ রাষ্ট্রপতি ভবনে
উল্লেখ্য, এসআইআর (SIR) শেষ হলে কমিশন (Election Commission) খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে। সেই সময় অনলাইনে নাম যাচাই করা যাবে। কারও নাম বাদ পড়লে আপত্তি জানানোর জন্য এক মাস সময় পাবেন ভোটাররা।












