বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে বিতর্কে থাকা লাভলি খাতুনকে (Lovely Khatun) ঘিরে ফের উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। পঞ্চায়েত প্রধান পদ থেকে সরানোর পরও কীভাবে তাঁর নাম এসআইআর তালিকায় উঠল, সেই প্রশ্নেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগ, বিএলও-কে চাপে ফেলে এনুমারেশন ফর্ম জমা করিয়েছেন তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের এই প্রাক্তন প্রধান।
বাংলাদেশ অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে পঞ্চায়েত প্রধানের পথ থেকে সরানো হয়েছিল লাভলি খাতুন কে (Lovely Khatun)
বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে সন্দেহ উঠতেই কিছুদিন আগেই পঞ্চায়েত প্রধানের পদ থেকে সরানো হয়েছিল তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লাভলি খাতুনকে (Lovely Khatun)। অভিযোগ ছিল, জাল নথি ব্যবহার করে তিনি পরিচয়পত্র বানিয়েছেন এবং সেই নথি দেখিয়ে ভোটেও দাঁড়িয়েছিলেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই তাঁর বিরুদ্ধে শোরগোল ওঠে, এবং তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয় পদ থেকে।
এরপর ঘটনাটি আরও জটিল মোড় নেয়। অভিযোগ, সেই একই লাভলি খাতুনের (Lovely Khatun) নাম এবার তোলা হয়েছে এসআইআর তালিকায়। শুধু নাম তোলাই নয়, ইতিমধ্যেই নাকি তাঁর ডিজিটাইজেশনও হয়ে গিয়েছে। অভিযোগ এসেছে, এ কাজ করতে গিয়ে বিএলও-র উপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করা হয়।
বিএলও দাবি করেন, তিনি লাভলির (Lovely Khatun) নাম তোলার বিষয়ে স্পষ্ট আপত্তি জানিয়েছিলেন। কারণ, নিয়ম অনুযায়ী কোনও সন্দেহভাজন বাংলাদেশি নাগরিকের নাম এসআইআর-এ অন্তর্ভুক্ত করা যায় না। এমনকী, যদি কেউ বাংলাদেশি বলে প্রমাণিত হন, তাহলে তাঁদের পুশব্যাক করার কথা, অর্থাৎ ভারতীয় সীমান্ত থেকে ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু লাভলির ক্ষেত্রে পুরোপুরি উল্টো চিত্র দেখা গিয়েছে।
বিএলও জানিয়েছেন, তাঁর আপত্তিকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তিনি বলেছিলেন, এই কাজ করা ঠিক হবে না, নিয়মবিরুদ্ধ। কিন্তু তবু এনুমারেশন ফর্ম জমা করানো হয় বলে তাঁর দাবি। প্রভাব খাটিয়ে লাভলী খাতুনের (Lovely Khatun) নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন ওই বিএলও।

আরও পড়ুনঃ মদ্যপান, খাওয়াদাওয়া, তারপর খুন! আদর্শের মৃত্যুর নেপথ্যে উঠে এল ভয়ানক সত্য
এই ঘটনার জেরে তুমুল রাজনৈতিক উত্তেজনা শুরু হয়েছে এলাকায়। প্রশ্ন উঠছে, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বলে সন্দেহ থাকা সত্ত্বেও কেন এবং কীভাবে লাভলী খাতুনের (Lovely Khatun) নাম SIR তালিকায় যুক্ত হল? কে বা কারা ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন? এই ঘটনার তদন্তের দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহলে। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলেই জানা গিয়েছে।












