বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একাদশ ও দ্বাদশে এসএসসি (School Service Commission) লিখিত পরীক্ষার পর শিক্ষক নিয়োগের জন্য পরীক্ষার্থীদের নথি যাচাই হয় গত মঙ্গলবার। তাতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। দেখা যায় প্রায় সাড়ে ৩০০ প্রার্থীর তথ্যে বড়সড় গরমিল। এর মধ্যে শুধু বাংলা ও ইংরেজিতেই বাদ ১০৬ জন চাকরিপ্রার্থীর নাম।
তালিকা দিয়ে স্পষ্ট করল কমিশন | School Service Commission
রবিবার, রাতে এক তালিকা প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। জানানো হয়েছে, কোন কোন প্রার্থীর নাম কাটা হয়েছে। পাশাপাশি যাতে আর কোনও বিতর্ক না হয় তাই কেন তাঁদের নাম বাদ পড়ল, তা-ও স্পষ্ট করে জানিয়েছে কমিশন। এসএসসি প্রকাশিত তালিকা বলছে সবমিলিয়ে বাংলায় ৩৩ জন এবং ইংরেজি বিষয়ে ৭৩ জন প্রার্থীর নাম তারা বাদ দিয়েছে।
এর মধ্যে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা যে তথ্য আপলোড করা হয়েছে, তাতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভুল ছিল বলে জানানো হয়েছে। আবার অনেকে নথি যাচাই পর্বে অভিজ্ঞতার শংসাপত্র দেখাতে পারেনি। জানা গিয়েছে পরীক্ষার্থীর প্রায় সাড়ে সাত শতাংশই ভুয়ো নথি নিয়ে আবেদন করেছেন শিক্ষক নিয়োগের জন্য।
শিক্ষকতার আগাম অভিজ্ঞতার শংসাপত্র এবং জাতিগত শংসাপত্রের ক্ষেত্রে এই গরমিল উঠে এসেছে। তাই প্রাথমিক ভাবে তাঁদের অভিজ্ঞতার জন্য ১০ নম্বর দেওয়া হলেও নথি যাচাইয়ের পর সেই নম্বর বাদ দেওয়া হয়। ফলে ‘কাট অফ মার্কস’ ওঠাতে পারেননি তারা।
আবার কারও ক্ষেত্রে বয়ঃসীমায় সমস্যা হওয়ার কারণে বাদ পড়েছে নাম। এসএসসি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে এঁরা কেউই আর ইন্টারভিউয়ের ডাক পাবেন না। এর পাশাপাশি আরও ২০০ জন আবেদনকারী নাকি নথি যাচাইয়ের প্রক্রিয়ায় অংশই নেননি।

আরও পড়ুন: কাজে ফাঁকি দেওয়ায় নজরবিহীন পদক্ষেপ প্রশাসনের! একসাথে ৬০ BLO-র বিরুদ্ধে FIR, সাসপেন্ড ২
সম্প্রতি এই বিষয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, অনলাইনে আবেদনের সময়ে অনেকেই তথ্য ভুল জমা দিয়েছিলেন। সে সব তথ্য এখন যাচাই করার কাজ চলছে। তথ্যে ভুল থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর যোগ্যতা আর থাকছে না।












