বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০১৭ ও ২০২২ সালের প্রাথমিকে টেট পরীক্ষায় প্রশ্ন ভুলের অভিযোগ নিয়ে হাই কোর্টে (Calcutta High Court) দীর্ঘদিন ধরে চলা মামলায় অবশেষে স্বস্তির হাওয়া বইল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দিকে। মূল মামলাকারীদের দাবি ছিল ২০২২ সালের টেটে ২৪টি এবং ২০১৭ সালের টেটে ২৩টি প্রশ্নে ভুল রয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা একের পর এক ধাপ পেরিয়ে পৌঁছয় বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট পর্যন্ত।
বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টে কী বলা হয়েছে?
সম্প্রতি প্রকাশিত বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। রিপোর্টে জানানো হয়েছে-
- ২০১৭ সালের টেট-এ পরিবেশবিদ্যা বিভাগে একটি প্রশ্নে ভুল রয়েছে। সেই প্রশ্নের দেওয়া সব উত্তরই ভুল বলে উল্লেখ করেছে কমিটি।
- ২০২২ সালের টেট প্রশ্নপত্রে কোনও ভুল পাওয়া যায়নি।
- ২০১৭ টেটে ভুল প্রশ্ন থাকার কারণে পরীক্ষার্থীরা সবাই সেই প্রশ্নের নম্বর পাবেন। এর ফলে কেউ যদি এই নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হন, তবে বোর্ড তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুযোগ দেবে।
কী বলেছে হাই কোর্ট (Calcutta High Court)?
এই টেট মামলা প্রসঙ্গে সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানান, ২০২২ সালের টেট প্রশ্নভুল মামলার নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছে, কারণ প্রশ্নে কোনও ত্রুটি পাওয়া যায়নি। বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টে যদি কোনও ত্রুটি ধরা পড়ে, তবে তা ভবিষ্যতে চ্যালেঞ্জ করা হবে। এরপর হাই কোর্ট বিশেষ একটি নির্দেশ দিয়েছে। নির্দেশটি হল- ২০১৭ টেটের রিপোর্ট ৭ দিনের মধ্যে ও ২০২২ টেটের রিপোর্ট ২ দিনের মধ্যে বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ ‘আমার সিদ্ধান্ত নয়’, মমতার চিঠির জবাব দিলেন সিইও মনোজ আগরওয়াল, কী বললেন?
উল্লেখ্য, এর আগে হাই কোর্ট (Calcutta High Court) নির্দেশ দিয়েছিল যে, ২০১৭ সালের টেট প্রশ্ন খতিয়ে দেখবে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা। ২০২২ সালের প্রশ্ন খতিয়ে দেখবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি। এই নিয়ে মামলা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ালে শীর্ষ আদালতও জানায় যে হাই কোর্টের রায়ই বহাল থাকবে, এখনই কোনও হস্তক্ষেপ করা হবে না।












