বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নভেম্বর মাস শেষ হতে চললেও এখনও ঝুলে রয়েছে ডিএ মামলার রায় (Dearness Allowance)। যা নিয়ে সরকারি কর্মীদের মনে চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে। কবে ডিএ মামলার রায় সামনে আসবে সেদিকে তাকিয়ে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারী। এরই মধ্যে মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ মামলার চূড়ান্ত রায় (Dearness Allowance Case Verdict) নিয়ে সম্প্রতি এক বিশেষ বার্তা দিয়েছেন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ-এর সভাপতি শ্যামল কুমার মিত্র।
ডিএ মামলার রায়দানের সম্ভাবনা কবে? Dearness Allowance
২০১৬ সালে শুরু হওয়া এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি গত ৭ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত হয়। তারপর প্রায় দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও কোনও এখনও রায় সামনে আসেনি। কর্মরত এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের অনেকেই সংগঠনের কাছে জানতে চাইছেন, এই মামলার রায় কবে বেরোবে, আদৌ বেরোবে কিনা। কর্মীদের এই উদ্বেগকে স্বাভাবিক বলে মেনে নিয়েছেন শ্যামল কুমার মিত্র। তবে একইসাথে তিনি বিচার ব্যবস্থার ওপর আস্থা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
শ্যামলবাবু ল কমিশনের ১২০তম রিপোর্টের তথ্য তুলে ধরেন জানান, বিচারপতির অভাব এবং বিপুল মামলার চাপে আদালতগুলি বর্তমানে ধুঁকছে। কবে ডিএ মামলার রায় সামনে আসবে এ বিষয়ে শ্যামলবাবু স্পষ্ট জানিয়েছেন, রায় ঘোষণার কোনো নির্দিষ্ট দিনক্ষণ বা ভবিষ্যদ্বাণী করা সম্ভব নয়।
তার কথায়, একমাত্র যেদিন সংশ্লিষ্ট দুই বিচারপতির বেঞ্চ বসবে এবং আদালতের ‘কজ লিস্ট’ বা ‘সাপ্লিমেন্টারি কজ লিস্ট’-এ “কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ অ্যান্ড আদার্স বনাম স্টেট অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যান্ড আদার্স” মামলার নাম তালিকাভুক্ত করা হবে, সেদিনই মামলার রায় সামনে আসতে পারে।

আরও পড়ুন: ‘নগরবন্ধু প্রকল্প’ ফেরাতে ফের তৎপর পুরসভা! প্রস্তুত রাজস্ব দপ্তর, জানালেন ফিরহাদ
উল্লেখ্য, ডিএ মামলার শুনানি বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রের স্পেশাল বেঞ্চে সমাপ্ত হয়েছে। এই বেঞ্চই ডিএ মামলার রায়দান করবে। শ্যামলবাবু আরও বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় না হলে বিচার ব্যবস্থার ওপর আস্থা রাখতেই হবে। এছাড়া কর্মীদের সামনে অন্য কোনো পথ খোলা নেই।












