বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবারে একটি অত্যন্ত বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ভারত (India) এবং কানাডা একটি বড় ইউরেনিয়াম সাপ্লাই চুক্তির কাছাকাছি রয়েছে। যার সম্ভাব্য মূল্য ২.৮ বিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় যা ২৩.৪ হাজার কোটি টাকা)। এই চুক্তির অধীনে কানাডা প্রায় ১০ বছর ধরে ইউরেনিয়াম সরবরাহ করবে। রবিবার জোহানেসবার্গে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি সাক্ষাৎ করেন।
ভারত (India) এবং কানাডার সঙ্গে সম্পন্ন হতে চলেছে বড় ডিল:
তাঁদের বৈঠকের পর, ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে যে, এই দুই দেশ তাদের দীর্ঘস্থায়ী সিভিল নিউক্লিয়ার অংশীদারিত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং এই অংশীদারিত্ব আরও সম্প্রসারণে সম্মত হয়েছে। যেটির মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী ইউরেনিয়াম সরবরাহের বিষয়ে আলোচনাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কানাডার সাসকাচোয়ান প্রদেশে স্থিত ক্যামেকো ইনকর্পোরেটেড নামে একটি কানাডিয়ান কোম্পানি ভারতে ইউরেনিয়াম সরবরাহ করবে।

কানাডার সঙ্গে কী আরেকটি পারমাণবিক চুক্তি: জানিয়ে রাখি যে, ভারতের পারমাণবিক শক্তি বিভাগের সঙ্গে ক্যামেকোর একটি পূর্ববর্তী চুক্তি ছিল। যার মেয়াদ ২০২০ সালে শেষ হয়ে যায়। এই চুক্তিটি ২০১৫ সালে কার্যকর হয়। সেই সময়ে কানাডা সফরে মোদী তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হার্পারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।
এদিকে, ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে কানাডা-ভারত পারমাণবিক সহযোগিতা চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর ভারতকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কানাডা থেকে ইউরেনিয়াম কেনার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এখন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে, আরেকটি বড় পারমাণবিক সহযোগিতা চুক্তিও হতে পারে। কারণ ভারতও ক্ষুদ্র মডুলার চুল্লি (SMR) প্রযুক্তিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রতীক্ষার অবসান! সামনে এল T20 বিশ্বকাপ ২০২৬-এর সূচি, কবে-কোথায় হবে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ?
অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং ভারতের মধ্যে অংশীদারিত্ব: ইউরেনিয়াম সরবরাহ সম্পর্কিত এই আলোচনাটি সম্প্রতি গঠিত অস্ট্রেলিয়া-কানাডা-ভারত প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন (ACITI) অংশীদারিত্বের সঙ্গেও যুক্ত। জোহানেসবার্গে মোদী, কার্নি এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের মধ্যে বৈঠকের পর এই অংশীদারিত্বের ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: ৫ বছরে মিলেছে ৩৫৩ শতাংশের রিটার্ন, এই ব্যাঙ্কের শেয়ারে রকেটের গতি, মালামাল বিনিয়োগকারীরা
ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী মোদী “X”-এ জানিয়েছেন যে, এই উদ্যোগ ৩ টি মহাদেশ এবং ৩ টি মহাসাগরের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করবে। এর লক্ষ্য হল উদীয়মান প্রযুক্তি থেকে শুরু করে ক্লিন এনার্জি, সাপ্লাই চেন এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স উন্নয়নে ৩ টি দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। উল্লেখ্য যে, ২০২৪ সালে ভারত ও কানাডার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ছিল ২২.৬ বিলিয়ন ডলার। কানাডা ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ৭০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চায়।












