রাজারহাটে নতুন আকর্ষণ, দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের পর নয়া তীর্থস্থানের ঘোষণা মমতার

Published on:

Published on:

Follow

বাংলাহান্ট ডেস্ক : দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পর থেকেই সৈকত শহরে বেড়েছে দর্শনার্থীদের ঢল। দিঘায় এমনিতেই সারা বছর পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। উপরন্তু এখন জগন্নাথ মন্দির হওয়ায় ভিড় আরোই বেড়েছে। আর এবার জগন্নাথ মন্দিরের মতো করেই আরও এক তীর্থস্থান তৈরি হতে চলেছে রাজ্যে। জুলাইয়ের সভামঞ্চ থেকে ঘোষণার পর এবার বনগাঁর সভা থেকেও বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

রাজারহাটে নতুন তীর্থস্থানের ঘোষণা মমতার (Mamata Banerjee)

রাজ্যে তৈরি হবে ‘দুর্গাঙ্গন’। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে এমনই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মাস চারেক পর তিনি জানালেন, রাজারহাট ইকো পার্কের বিপরীতে তৈরি হবে এই নতুন তীর্থক্ষেত্র। এ বিষয়ে নতুন আপডেট দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জমি ইতিমধ্যেই ক্লিয়ার হয়ে গিয়েছে। জগন্নাথ ধামের (Jagannath Temple) মতোই মন কেড়ে নেবে জায়গাটি। ৩৬৫ দিনই দুর্গাঅঙ্গন খোলা থাকবে বলে জানান তিনি।

New travel destination announcement by mamata banerjee

কবে হবে উদ্বোধন: ডিসেম্বর জানুয়ারির মধ্যেই দুর্গাঅঙ্গন উদ্বোধন হয়ে যাবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে পর্যটনে। এতে পর্যটন দফতর থেকে প্রশাসন উভয়েই উৎসাহিত। সেই সাফল্যের থেকে উৎসাহিত হয়েই এই নতুন তীর্থক্ষেত্রের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন : SIR-এর ড্রাফট তালিকায় নাম না থাকলে দেশছাড়া হতে হবে? প্রশ্নের জবাব দিল কমিশন

একগুচ্ছ ধর্মীয় স্থান সংস্কার রাজ্যে: এদিন অবশ্য বনগাঁর সভা থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ধর্মীয় সম্প্রীতির নিদর্শনের উদাহরণ দেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। বনগাঁর ঠাকুর পরিবার, কচুয়া, তারাপীঠ, কঙ্কালীতলা, বক্রেশ্বরের মতো একাধিক তীর্থস্থানের সংস্কার থেকে ফুরফুরা শরিফের উন্নয়ন বা দক্ষিণেশ্বর, কালীঘাটের স্কাইওয়াকের খতিয়ান তুলে ধরেন তিনি।

আরও পড়ুন : নতুন মেগার কোপ, কী ভবিষ্যৎ ‘জগদ্ধাত্রী’র? মুখ খুললেন ‘স্বয়ম্ভূ’ সৌম্যদীপ

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ৪-৫ জন তফসিলি মেয়েকে নিজের বাড়িতে রেখে মানুষ করেছেন তিনি। চাকরি, বিয়ের ব্যবস্থা করেছেন। এখন জেলায় গেলে তাঁর সঙ্গে যায় তাঁরা, রাতে সঙ্গে ঘুমায়। মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখাই আসল বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে বিজেপির উদ্দেশে কটাক্ষ শানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা জাতপাত করি না। ভোটের সময় ওদের তফসিলি ভোট চাই। তারপর অত্যাচার করে তাকিয়েও দেখে না।’