যুগোপযোগী ব্যবসায়িক আইডিয়া! মাত্র ১০ মাসেই ১০.৫ কোটির কোম্পানি দাঁড় করালেন রিতেশ-কাজল

Published on:

Published on:

Kajal-Ritesh's Success Story will amaze you.
Follow

বাংলাহান্ট ডেস্ক: ডিসেম্বর ২০২৪-এ মাত্র দুই স্বপ্নবান তরুণী ও তরুণের উদ্যোগে শুরু হওয়া ‘লঞ্চড গ্লোবাল’ আজ সফলতার (Success Story) শিখরে। কেবল ১০ মাসের মধ্যেই ২৫ হাজার শিক্ষার্থীকে পরিষেবা প্রদান করে ১০.৫ কোটি টাকার আয়—এডটেক দুনিয়ায় এমন সাফল্য সচরাচর দেখা যায় না। আপস্কিলিং, বিদেশে পড়াশোনা থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যসেবাক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ সৃষ্টি—সব মিলিয়ে টিয়ার-২ এবং টিয়ার-৩ শহরের যুবকদের কাছে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিচ্ছে লঞ্চড গ্লোবাল। দ্রুত মুনাফায় পৌঁছে এখন কোম্পানিটি বিশ্ববাজারে বিস্তারের দিকে এগোচ্ছে।

এডটেক দুনিয়ায় সাফল্যের (Success Story) অন্যতম নাম লঞ্চড গ্লোবাল:

লঞ্চড গ্লোবালের পথচলার সূচনা হয় দুই সহ-প্রতিষ্ঠাতা—আহমেদাবাদের কাজল দাভে ও উদয়পুরের রিতেশ জৈনের হাত ধরে। বেঙ্গালুরুতে এমবিএ করার সময় কাজল এডটেক খাতে তার দক্ষতা গড়ে তোলেন এবং ২০২১ সালের মধ্যে একটি স্টার্টআপকে ২০ কর্মী থেকে ১,২০০ কর্মীতে উন্নীত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। কিন্তু ২০২৪ সালে ব্যক্তিগত জীবনের কঠিন সময় তাঁকে নতুন করে উঠে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরণা দেয়। কাজলের কথায়, “একটি ব্যক্তিগত পতনই আমাকে মনে করিয়ে দিয়েছিল—প্রতিটি শেষের মধ্যেই শুরু লুকিয়ে থাকে।” অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড থেকে এমবিএ করে দেশে ফেরার পর রিতেশ টেলিকম, প্রযুক্তি ও বিদেশে পড়াশোনার কনসালটিং সেক্টরে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন। ভারতের মেধাবী ছাত্রছাত্রীদেরকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার স্বপ্ন থেকেই সেপ্টেম্বর ২০২৪-এ কাজলের সঙ্গে তাঁর যাত্রাপথ এক হয়ে যায় (Success Story)।

আরও পড়ুন:দেখা করতে বাধা পরিবারকে, জেলের মধ্যেই খুন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান? বাড়ছে জল্পনা

ফান্ডিং ছাড়াই ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যক্রম শুরু করে লঞ্চড গ্লোবাল। ছোট দল গঠন, প্রশিক্ষণ, আর চেষ্টা—এসবের মধ্যেই ছিল প্রচুর আবেগঘন ও ব্যবসায়িক লড়াই। কিন্তু সেই লড়াইই হয়ে ওঠে তাদের শক্তি। কয়েক মাসের মধ্যে দ্রুতগতিতে উন্নতি করে জুলাইয়ের মধ্যেই কোম্পানি মুনাফায় পৌঁছে যায়—যা এডটেক দুনিয়ায় এক নজিরবিহীন ঘটনা। আপস্কিলিং-এর আওতায় কোম্পানিটি এআই, এসএএএস, ডেটা সায়েন্স, ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপমেন্ট, সাইবার সিকিউরিটি ও ফাইন্যান্সের মতো কোর্স হিংলিশে লাইভ মেন্টরশিপে প্রদান শুরু করে। পাশাপাশি ৫০০-রও বেশি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন, স্কলারশিপ ও ভিসা সহায়তা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেওয়া হয়। স্বাস্থ্যসেবাক্ষেত্রে জার্মানির নয়া সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভারতীয় নার্স ও মেডিক্যাল পেশাদারদের জন্য ভাষা প্রশিক্ষণ, নিয়োগ ও রিলোকেশন সাপোর্টও প্রদান করছে কোম্পানি (Success Story)।

এই উদ্যোগের বাস্তব ফল মিলেছে দ্রুত। ২৫ হাজার শিক্ষার্থীর ৯০ শতাংশই ভারতের ছোট শহর ও কলেজ থেকে এসেছে। ইতিমধ্যে ১০০-রও বেশি পার্টনার কোম্পানিতে শিক্ষার্থীরা ইন্টার্নশিপ পেয়েছেন এবং ৩০০-রও বেশি যুবক-যুবতী প্রতিষ্ঠিত সংস্থায় চাকরি পেয়েছেন। বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেয়েছেন আরও ১০০-এর বেশি ছাত্রছাত্রী। বর্তমানে লঞ্চড গ্লোবালের দলে আছেন ১৭০ জন বিশেষজ্ঞ, এবং ব্যবসার মুনাফা ব্যবহার করেই কোম্পানি আরও বিস্তারের পথে এগোচ্ছে (Success Story)।

Kajal-Ritesh's Success Story will amaze you.

আরও পড়ুন:পাক হামলা থেকে রক্ষা করেন জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও গ্রামবাসীদের! পুরস্কৃত করা হল অকুতোভয় সেই ১৯ CISF জওয়ানকে

আগামী দিনে লঞ্চড গ্লোবাল আনতে চলেছে ‘ডোজোওয়ার্কস’—যেখানে ছাত্রছাত্রী, কলেজ ও কোম্পানিগুলি বাস্তব প্রকল্প ও এআই-নির্ভর বিশ্লেষণের মাধ্যমে যুক্ত হবে। পাশাপাশি দুবাই, সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনামে আন্তর্জাতিক লঞ্চের প্রস্তুতি চলছে। বিশ্বের প্রথম এমআই জব ইনডেক্স তৈরির পরিকল্পনাও এগিয়ে নিয়ে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি। কাজল ও রিতেশের বিশ্বাস, ভারতের প্রকৃত প্রতিভা লুকিয়ে রয়েছে ছোট শহরে, আর সেই প্রতিভাকেই বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরাই তাদের লক্ষ্য। আজ লঞ্চড গ্লোবাল দ্রুতই ভারতীয় স্কিল-ভিত্তিক শিক্ষা ও ক্যারিয়ার ইকোসিস্টেমে এক বিপ্লবী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে (Success Story)।