কালিম্পং ভ্রমণকারীদের জন্য হটস্পট! তিস্তা ও কাঞ্চনজঙ্ঘা একসাথে উপভোগের সুযোগ

Published on:

Published on:

Kalimpong viewpoint a magnificent view of the Teesta River and Kanchenjunga together
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্ক: দক্ষিণবঙ্গে নভেম্বরের শেষের দিকে শীত পড়তে শুরু করেছে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যে শীতের আমেজ অনেকদিন আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এর মাঝেই আকাশ পরিষ্কার থাকলে পরে দেখা যাচ্ছে স্পষ্ট কাঞ্চনজঙ্ঘাকে। আর তার পাদদেশেই রয়েছে তিস্তা নদী। আপনিও যদি এই শীতের সময় উত্তরবঙ্গ ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন, তাহলে যেতে পারেন কালিম্পং (Kalimpong)। কালিম্পং এর ভালুখোপে বলে একটি জায়গা রয়েছে। যেখানে আপনি শহরের কোলাহল থেকে দূরে থাকতে পারবেন। পাশাপাশি প্রকৃতির কাছাকাছি সময় কাটাতে পারবেন।

কালিম্পং ভিউপয়েন্ট! তিস্তা নদী ও কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য একসাথে (Kalimpong)

আপনিও যদি শহরের কোলাহল ছেড়ে প্রকৃতি নির্জনতা উপভোগ করতে চান। তাহলে আপনাকে যেতে হবে উত্তরবঙ্গের কালিম্পং (Kalimpong) শহরের ভালুখোপে। এখানে গেলে পরে আপনি প্রকৃতির কাছাকাছি সময় কাটাতে পারবেন। কারণ সামনেই রয়েছে খোলা দিগন্ত। যার সামনে রয়েছে গিয়েছে সবুজ পাহাড়। আর নিচে বয়ে গেছে তিস্তা নদী।

Kalimpong viewpoint a magnificent view of the Teesta River and Kanchenjunga together

আরও পড়ুন: মাটন কষা বা ঝোল নয়! সামান্য মশলা দিয়ে বানিয়ে ফেলুন এই ‘কোফতা’ , প্রণালী জানুন

আর অন্যদিকে রয়েছে মেল্লি। পাশাপাশি তার ওপরেই রয়েছে সে শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘা। ভালুখোপ থেকে কালিম্পংয়ের পথেই এই মায়াবী জায়গাটি আপনি পাবেন। যেখানে পাহাড়ি গ্রামের দিকে তাকিয়ে শুধু সবুজের সমারহ দেখতে পাবেন। এছাড়াও কালিম্পং থেকে এখানে যেতে মাত্র দেড় কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হবে আপনাকে।

যদিও এই পর্যটক কেন্দ্রের এখনো সেইভাবে নাম ডাক হয়ে ওঠেনি। তাই এইখানে পর্যটকদের আনাগোনা খুবই কম। পাশাপাশি হাতে গোনা রয়েছে কয়েকটি হোমস্টে। এখানে আসলে পরে আপনি ২রাত অনায়াসে কাটাতে পারবেন। এখানে আপনি গেলে ঘুরে দেখতে পারেন সাত মাইল, দুরপিন মনাস্ট্রি, চিত্রে জলপ্রপাত, ডেলো পার্ক ইত্যাদি। এ ছাড়া ভালুখোপ থেকে অনায়াসে ঘুরে নিতে পারেন রামধুরা, দাঁড়াগাঁও, বিদ্যাং সিলেরি গাঁও ইত্যাদি জায়গা।

কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন?

শিয়ালদহ থেকে নিউ জলপাইগুড়ি তে ট্রেনে করে যান। এরপর সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে ভালুখোপের পৌঁছন। যদিও নিউ জলপাইগুড়ি থেকে এখানকার দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার। গাড়িতে সময় লাগবে প্রায় আড়াই ঘন্টা। তবে এখানে যাওয়ার জন্য গাড়ির রিজার্ভ করার দরকার নেই। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে কালিংপং শহরে শেয়ার গাড়ি পেয়ে যাবেন। কালিম্পং শহর থেকে ১০ মিনিটের হাঁটা পথে পড়বে এই জায়গাটি। পাশাপাশি এখানে থাকার জন্য বেশ কয়েকটি হোমস্টে রয়েছে। তবে এখানে ঘুরতে আসার আগে আগের থেকে হোমস্টে বুকিং করে আসা ভালো (Kalimpong)।