বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যত সময় যাচ্ছে, হতাশা বাড়ছে সরকারি কর্মীদের। নভেম্বর প্রায় শেষের পথে। বহু বছরের আইনি লড়াই কাটিয়ে ডিএ মামলার (Dearness Allowance) শুনানি শেষ তো হয়েছে, তবে রায় এখনও ঝুলে রয়েছে সর্বোচ্চ আদালতে। রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারীর অপেক্ষা বাড়ছে। মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ মামলার চূড়ান্ত রায় কবে প্রকাশ হবে তা নিয়ে চিন্তায় কর্মচারীমহল।
নভেম্বর শেষ, ডিএ মামলার রায়দানের সম্ভাবনা কবে? Dearness Allowance
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘সত্যি বলতে কর্মচারী সমাজ, শিক্ষক সমাজ, অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী সমাজ সবাই ডিএ-র বিষয়টা জানতে চাইছে এবং আমরা একটা অনুমান করেছিলাম যে এই নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে অন্তত ডিএ মামলার রায় সামনে আসবে। প্রথম সপ্তাহ, দ্বিতীয় সপ্তাহ, আশাটা দীর্ঘদিন ধরে করে আজকে নভেম্বর মাস শেষ হতে চলেছে। এখনও সুপ্রিম কোর্ট থেকে কোনও উত্তর আমরা পাই নি।’
যদিও আশার কথা শুনিয়ে মলয়বাবু আরও বলেন, ‘তবে এইটুকু আমরা দেখেছি যে আমাদের ডিএ মামলাটা যারা করেছিল বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রের স্পেশাল বেঞ্চে তাদের একসঙ্গে বসা অর্থাৎ, যখন স্পেশাল বেঞ্চ না হলে একসঙ্গে কিন্তু হয়না। সেটা দেখছি এখন সপ্তাহে একদিন, দুদিন করে হচ্ছে। ডিএ মামলাটা থাকলে পরে এখনও সাপ্লিমেন্টরি লিস্টে। সেটা থাকবে বলে আমাদের মনে হয়না। কর্মচারী সমাজকে তা বলব না। তবে যদিও থাকে তাহলে একদম শেষমুহূর্তে জানতে পারবেন।’
মলয়বাবু আরও বলেন, ‘আগে বেশ কিছুদিন আমরা দেখেছি যে স্পেশাল বেঞ্চ করে দুজনে বসে নি। এখন দেখছি স্পেশাল বেঞ্চ করে দুজনে বসছে। অন্য মামলাগুলি শুনছেন। তবে এখনও আমাদের মামলা শোনে নি। কর্মচারীসমাজকে আমরা এইটুকু বার্তা দিতে পারি যে রায়ের কোনও তথ্য এখনও আমরা সর্বোচ্চ আদালতের কাছ থেকে পাইনি।’

আরও পড়ুন: SIR চলাকালীনই বড় বদল! নতুন ভোটারদের নাম তোলায় কঠোর নিয়ম ঘোষণা কমিশনের
উল্লেখ্য, গত ৭ সেপ্টেম্বর ডিএ মামলার চূড়ান্ত শুনানি সমাপ্ত হয়। তবে নভেম্বর শেষ হতে চললেও রায় এখনও সামনে আসে নি। বর্তমানে “Heard and Reserved” রয়েছে। ডিএ মামলার শুনানি বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রের স্পেশাল বেঞ্চে সমাপ্ত হয়েছে। এই বেঞ্চই ডিএ মামলার রায়দান করবে বলে শোনা গিয়েছে। এবার কবে ডিএ মামলার রায়দান হবে সেই দিকে চেয়ে রয়েছেন রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারী।












