বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সমতলের পর এবার নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে উত্তপ্ত পাহাড়। জিটিএ-তে (GTA) নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে শোরগোল রাজ্যে। পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ একাধিক শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি এফআইআর ঠুকেছে খোদ রাজ্য সরকার। উত্তর বিধাননগর থানায় এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ওদিকে কেবল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই নয়, শিক্ষা দফতরের দায়ের করা অভিযোগে নাম রয়েছে বিনয় তামাং, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ হাবড়ার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা বুবাই বোস, স্কুল পরিদর্শক প্রাণগোবিন্দ সরকার-সহ রাজন্যা হালদারের স্বামী প্রান্তিক চক্রবর্তীরও। জিটিএ-র স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে এদের বিরুদ্ধে।
এরই মাঝে এবার সামনে এল জিটিএ-তে নিয়োগ পাওয়া ৩১৩ জন অস্থায়ী শিক্ষককে স্থায়ীকরণের তালিকা। অভিযোগ ৩১৩ জন অস্থায়ী শিক্ষককে আপার প্রাইমারিতে চাকরি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রাইমারিতে চাকরি পেয়েছেন ১২১ জন। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে জিটিএ-তে শিক্ষক নিয়োগে বেনিয়ম নিয়ে সুমন গুরুং নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেয় শিক্ষা দফতর। পরে ওই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম একটি রিপোর্ট জমা করে।
গত বছর শেষের দিকে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের দেওয়া রিপোর্টে উঠে আসে জিটিএ-র স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষকদের স্থায়ীকরণের পক্রিয়া নিয়ম মেনে হয়নি। শিক্ষা দফতরের বেশ কিছু আধিকারিক সহ কিছু নেতাদেরও এই দুর্নীতিতে হাত রয়েছে বলে জানানো হয় রিপোর্টে। এরই মধ্যে গত জানুয়ারি মাসে জিটিএ-তে নিয়োগ কারচুপি নিয়ে অভিযোগ তুলে একটি বেনামি চিঠি সামনে আসে শিক্ষা দফতরে।
আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে লঙ্ঘিত হয়েছে মানবাধিকার! এবার বিরাট পদক্ষেপ কমিশনের
চলতি বছরেই শিক্ষা দফতর সেই চিঠি ডিআইজি, সিআইডিকে ও ভিজিলেন্স কমিশনকেও পাঠায়। তবে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন এতদিন রাজ্য কোনো পদক্ষেপ করল না সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। জিটিএ-র শিক্ষক নিয়োগ মামলায় গত মঙ্গলবারই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। প্রাথমিক অনুসন্ধান করে সিবিআই-কে জমা করার নির্দেশ দেন তিনি। জিটিএ-কেও রিপোর্ট দিতে হবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট।