বাংলা হান্ট ডেস্ক: চলতি বছরে উৎসবের মরশুমের ঠিক আগেই GST হারে উল্লেখযোগ্য হ্রাসের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এমতাবস্থায়, গত অক্টোবর মাসে দেশজুড়ে জোরদার কেনাকাটা পরিলক্ষিত হয়। ফলস্বরূপ, ওই মাসে GST আদায়ের (GST Collection) পরিমাণ ১.৯৬ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল। তবে, নভেম্বর মাসে ক্রয় হ্রাসের কারণে, GST আদায় অক্টোবরের পরিসংখ্যান না ছুঁলেও তা দাঁড়িয়েছে ১.৭০ লক্ষ কোটি টাকায়। এক বছর আগে অর্থাৎ, ২০২৪ সালের নভেম্বরে, GST আদায়ের পরিমাণ ছিল ১.৬৯ লক্ষ কোটি টাকা।
নভেম্বরে GST আদায় (GST Collection):
বৃদ্ধির হার কমছে: আমরা যদি এই বছরের গত কয়েক মাসের পরিসংখ্যানে দিকে তাকাই, তাহলে দেখা যাবে যে অক্টোবর থেকে GST আদায়ের হার কমছে। এই বছরের সেপ্টেম্বরে GST আদায়ের বৃদ্ধির হার গত বছরের একই মাসের তুলনায় ৯.১ শতাংশ ছিল। অক্টোবরে এই হার কমে ৪.৬ শতাংশ হয়েছে। নভেম্বরে তা আরও কমে ০.৭ শতাংশ হয়েছে।

অভ্যন্তরীণ ও আমদানিতে কত GST এসেছে: নভেম্বর মাসে, মোট অভ্যন্তরীণ GST রেভিনিউর পরিমাণ হল ১,২৪,৩০০ কোটি টাকা। যেখানে গ্রস ইমপোর্ট রেভিনিউ ছিল ৪৫,৯৭৬ কোটি টাকা। এমতাবস্থায়, উভয়ই যোগ করলে এই মাসে মোট GST রেভিনিউ হয়েছে ১,৭০,২৭৬ কোটি টাকা।
রিফান্ডের পরিমাণ: নভেম্বর মাসে, ডোমেস্টিক রিফান্ডের পরিমাণ ছিল ৮,৭৪১ কোটি টাকা। রফতানির ওপর GST রিফান্ডের পরিমাণ ছিল ৯,৪৬৪ কোটি টাকা। যদি উভয়কেই একত্র করা হয়, তাহলে নভেম্বর মাসে মোট GST রিফান্ড ছিল ১৮,১৯৬ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: ভারতে প্রত্যাবর্তনের পরে একী হল বৈভব সূর্যবংশীর? ক্রমশ চিন্তা বাড়ছে দলের
আদায়ের এই ধীর গতির কারণ: সরকারি সূত্র বলছে যে GST আদায়ের এই ধীর গতি GST নিয়মের পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত। চলতি বছরের অগাস্টে, প্রধানমন্ত্রী মোদী GST ব্যবস্থায় কিছু পরিবর্তন ঘোষণা করেছিলেন। এরপর, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে, সরকার ১২ শতাংশ এবং ২৮ শতাংশ ট্যাক্স স্ল্যাব বাতিল করে একটি বড় পদক্ষেপ নেয়। এখন বেশিরভাগ পণ্যের ওপর ট্যাক্স স্ল্যাব হ্রাস করা হয়েছে। যার ফলে ৯০ শতাংশ পণ্যের ট্যাক্স স্ল্যাব কমে গিয়েছে। এমতাবস্থায়, সরকারি রাজস্বের ওপর প্রভাব পড়েছে।
আরও পড়ুন: টেস্ট ক্রিকেটে করতে চলেছেন প্রত্যাবর্তন? রাঁচিতে সেঞ্চুরির পর কোহলি করলেন ‘বিরাট’ ঘোষণা
কী জানিয়েছে RBI: এদিকে, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তথা RBI-র মতে এই GST হ্রাস আগামী মাসগুলিতে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে। যেটি আমেরিকার কর্তৃক আরোপিত শুল্কের প্রভাব কমাতেও সাহায্য করবে বলে অনুমান করছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।












