বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিয়ালদহ-কল্যাণী রুটে প্রথমবারের মতো চালু হতে চলেছে নতুন এসি লোকাল ট্রেন। পূর্ব রেলের শিয়ালদহ বিভাগ জানিয়েছে, এই পরিষেবা ৪ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে শুরু হবে। পাশাপাশি শিয়ালদহ-কৃষ্ণনগর রুটে যে এসি লোকাল চলে, এবার সেটি রবিবারেও চলবে, যা কার্যকর হবে ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে। এর সঙ্গে বিবাদি বাগ (কলকাতা) থেকে ছাড়া একটি নন-এসি লোকাল এখন থেকে সরাসরি কল্যাণী পর্যন্ত যাবে। ফলে যাত্রীরা আরও বেশি সুবিধা পাবেন (Indian Railways)।
নতুন এসি পরিষেবা কেন গুরুত্বপূর্ণ (Indian Railways)?
রেল (Indian Railways) কর্তৃপক্ষের দাবি, এই পরিষেবা বহু দিনের দাবি পূরণ করবে। যারা প্রতিদিন ভিড়ের মধ্যে যাতায়াত করতে বাধ্য হন, তাঁদের জন্য এটি বড় স্বস্তি। বিশেষ উপকার পাবেন –
- কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা
- কল্যাণীর AIIMS-এ যাতায়াতকারী রোগী ও তাঁদের পরিবার
- শিল্পাঞ্চল, প্রশাসনিক ও বাণিজ্যিক এলাকায় কর্মরত মানুষজন, যাঁরা আরামদায়ক, সময়নিষ্ঠ পরিষেবা চান
শিয়ালদহ-কল্যাণী AC Local (৪ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে)
শিয়ালদহ-কল্যাণী AC Local সপ্তাহে ৬ দিন (সোমবার থেকে শনিবার) পর্যন্ত চলবে। এই ট্রেন নম্বর – ৩১৩৪৭ / ৩১৩৪৪। এটি শিয়ালদহ থেকে ছাড়বে বিকেল ৩:৩৫ মিনিটে, আর কল্যাণী পৌঁছাবে ৪:৫২ মিনিটে। আবার কল্যাণী থেকে ছাড়বে বিকেল ৫:০২ মিনিটে, আর শিয়ালদহ পৌঁছাবে ৬:২০ মিনিটে।
শিয়ালদহ–কৃষ্ণনগর AC Local (রবিবারেও, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে)
আগে নির্দিষ্ট কয়েকদিন চললেও এবার থেকে রবিবারেও চলবে শিয়ালদহ–কৃষ্ণনগর AC Local। এই ট্রেনের নম্বর – ৩১৮৪৭ / ৩১৮৪৮। এই ট্রেন শিয়ালদহ থেকে ছাড়বে সকাল ১১:৫৫ মিনিটে, আর কৃষ্ণনগর পৌঁছাবে দুপুর ২:১১ মিনিটে। আবার কৃষ্ণনগর থেকে ছাড়বে বিকেল ৪:০৫ মিনিটে, আর শিয়ালদহ পৌঁছাবে ৬:২০ মিনিটে।
উল্লেখ্য, এই AC Local দুটি বিধাননগর, দমদম, বেলঘরিয়া, সোদপুর, খড়দহ, ব্যারাকপুর, শ্যামনগর, নৈহাটি, কাঁচড়াপাড়া, কল্যাণী, চাকদহ ও রানাঘাট স্টেশনে স্টপেজ দেবে।

আরও পড়ুনঃ ‘ভোটার তালিকায় হিন্দুদের নাম তুলতে মানা!’ মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন শুভেন্দু
এছাড়া, এবার বিবাদি বাগ (কলকাতা) থেকে ছাড়া একটি নন-এসি লোকাল সরাসরি কল্যাণী পর্যন্ত যাবে, যা বাড়তি সুবিধা দেবে প্রতিদিন বহু যাত্রীকে। এতে নতুন এসি পরিষেবা ও আগের পরিষেবা মিলিয়ে এখন সপ্তাহে সাত দিনই কল্যাণীমুখী তিনটি এসি লোকাল পাওয়া যাবে।
রেল জানিয়েছে, এতে যাত্রা আরও দ্রুত হবে। ভিড় কমবে। বাইরের তাপ-আর্দ্রতা থেকে সুরক্ষা মিলবে, এবং রোগী, ভক্ত ও নিয়মিত কর্মরত যাত্রীদের সুবিধা বাড়বে (Indian Railways)।












