বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের আপার প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগে তৈরি অতিরিক্ত শূন্যপদ পুরোপুরি বাতিল করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ২০২২ সালে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় মোট ১৬০০ অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে তার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রাজ্য। এবার সেই সিদ্ধান্তই খারিজ করে দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
৩২ হাজার মামলায় স্বস্তির পরেই নতুন ধাক্কা রাজ্যে
গতকালই প্রাথমিকে ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বহাল রেখেছিল হাই কোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চ। সেই রায়ের ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি, তার মধ্যেই অন্য মামলায় সিঙ্গেল বেঞ্চে বড় ধাক্কা খেল রাজ্য। শুনানির সময় আদালত স্পষ্ট জানায় “ওই পদে কোনও নিয়োগ নয়।”
‘মৃত প্যানেলকে ইঞ্জেকশন দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা’, কঠোর মন্তব্য বিচারপতির
২০১৯ সালে প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর রাজ্য অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে। আদালতের (Calcutta High Court) মতে, মেয়াদোত্তীর্ণ প্যানেলে নতুন পদ যোগ করা আইনসঙ্গত নয়। বিচারপতি বলেন, মৃত প্যানেলকে ইঞ্জেকশন দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
আদালত (Calcutta High Court) জানায়, অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগ করতে হলে নতুন করে শূন্যপদ ঘোষণা করতে হবে এবং নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। পুরনো, মেয়াদোত্তীর্ণ প্যানেলকে টেনে নিয়ে যাওয়া যাবে না। এরপর বিচারপতি স্পষ্ট জানান, রাজ্যের এক্সিকিউটিভ পাওয়ার ইচ্ছে মতো ব্যবহার করা যায় না। কোনও নাগরিকের অধিকার খর্ব করার মতো সিদ্ধান্ত নিলে আদালত তা খতিয়ে দেখতেই পারে।
কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় তৈরি হয়েছিল ১৬০০ অতিরিক্ত পদ। এর মধ্যে কর্মশিক্ষায় পদ সংখ্যা ছিল ৭৫০, ও শারীরশিক্ষায় ৮৫০। ২০২২ সালের ১৯ মে ও ১৪ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিষয়টি জানায় রাজ্য। এরপরই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মামলা হয় হাই কোর্টে (Calcutta High Court)। চলতি বছরের মাঝামাঝি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এই নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন। এমনকি বিজ্ঞপ্তিও খারিজ হয়। আজ সেই মামলার চূড়ান্ত রায়ে অতিরিক্ত শূন্যপদকেই বেআইনি ঘোষণা করা হল। মামলাকারীদের দাবি, ‘পছন্দের প্রার্থীকে চাকরি দেওয়ার বন্দোবস্ত ছিল’ আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন “একটা মৃত প্যানেলে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে পছন্দের ক্যান্ডিডেটকে চাকরি দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল।”

আরও পড়ুনঃ বাবরি মসজিদ তৈরির ইস্যুতে বড় পদক্ষেপ! হুমায়ুনকে দল থেকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল
তিনি আরও বলেন, “প্যানেলের মেয়াদ এক বছর। মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও পদ তৈরির মাধ্যমে ওই প্যানেলকে বাঁচিয়ে চাকরি দেওয়া আইনসঙ্গত নয়। তাই হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি শূন্যপদ খারিজ করে দিয়েছেন। রাজ্যের সিদ্ধান্ত সংবিধানসম্মত হতে হয়। এটা সংবিধানসম্মত নয়।”












