উত্তরপ্রদেশে রোহিঙ্গা-বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের রুখতে কড়া পদক্ষেপ যোগীর! শুরু বিশেষ অভিযান

Published on:

Published on:

Yogi started major operation to stop infiltrators in Uttar Pradesh.
Follow

বাংলাহান্ট ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযানে নামল যোগী সরকার। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কঠোর নির্দেশের ভিত্তিতে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে বিশালসড় তৎপরতা। রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে কোনও ধরনের শিথিলতার সুযোগ রাখা হচ্ছে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে সরকার। সূত্রের খবর, অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখতে এবং জাল নথিপত্র ব্যবহারকারীদের ধরতে প্রথম ধাপের অভিযান ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। ১৭টি পৌর সংস্থাকে বিশেষ নির্দেশ পাঠানো হয়েছে, যাতে তারা অবৈধ বসবাসকারীদের তালিকা দ্রুত প্রস্তুত করে। পাশাপাশি, বিভিন্ন জেলায় পুলিশ কমিশনার ও আইজি পর্যায়ের আধিকারিকদেরও কঠোর নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উত্তর প্রদেশে (Uttar Pradesh)vঅনুপ্রবেশকারী রুখতে বড়সড় অভিযানে নামল যোগী সরকার:

সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, প্রতিটি শহর, মহকুমা ও জেলায় বসবাসকারীদের নথিপত্র বিস্তারিতভাবে যাচাই করা হবে। বিশেষ করে গত কয়েক বছরে রাজ্যে (Uttar Pradesh) ঢুকে পড়া রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের প্রতি নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। বহু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, এঁদের মধ্যে কেউ কেউ জাল ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড বা আধার কার্ড তৈরি করে বছরের পর বছর ধরে ভারতে বসবাস করছে। সেই কারণেই প্রশাসন এবার নথিপত্র যাচাইয়ে কোনও সন্দেহ দেখা দিলেই দ্রুত তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে। যোগী সরকারের দাবি, জাল নথিধারীদের কোনওভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।

আরও পড়ুন: টিভি দেখে পান আইডিয়া! অভিনব পদ্ধতিতে চাষ শুরু করে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন ধীরজের

এই অভিযানের পাশাপাশি চলছে ডিটেনশন সেন্টার তৈরির কাজও। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত তাদের রাখার জন্য ফাঁকা সরকারি ভবন চিহ্নিত করা শুরু হয়েছে। এসব ভবনকে উচ্চ-নিরাপত্তাযুক্ত অঞ্চলে রূপান্তর করা হবে। সেখানে থাকবে সিসিটিভি নজরদারি, প্রহরারত নিরাপত্তা বাহিনী এবং কঠোর প্রবেশ-নিষেধ ব্যবস্থা। ভবিষ্যতে এ ধরনের ডিটেনশন সেন্টার রাজ্যের (Uttar Pradesh) বিভিন্ন জেলায় তৈরি করা হবে, যাতে কোনও অবৈধ বসবাসকারী পালিয়ে যেতে না পারে এবং আইনগত প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা যায়।

সূত্রের খবর, ডিটেনশন সেন্টারের তত্ত্বাবধান থাকবে অসামরিক প্রশাসনের হাতে, সঙ্গে থাকবে পুলিশের যৌথ তদারকি। এই দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়ার ফলে কেন্দ্রগুলিতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহজ হবে এবং অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের দ্রুত শনাক্তকরণ ও ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া আরও কার্যকরী হবে। যোগী সরকারের একাংশের মতে, দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের (Uttar Pradesh) বিভিন্ন জেলায় অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের গতিবিধি বাড়তে শুরু করেছিল। তারা বহু ক্ষেত্রে স্থানীয় নথিপত্র সংগ্রহ করে সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে মিশে যাচ্ছিল। তাই এই পদক্ষেপ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছিল।

Yogi started major operation to stop infiltrators in Uttar Pradesh.

আরও পড়ুন:জনগণের প্রকল্পে বাড়তি তদারকি! ২৩ জেলার দায়িত্বে ২৩ আমলা, বড় পদক্ষেপ নিল নবান্ন

দেশের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) সরকারের এই উদ্যোগ সীমান্ত সুরক্ষা ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা বর্তমানে শুধু উত্তরপ্রদেশ নয়, দেশের বহু রাজ্যেই বড় সংখ্যায় বাস করছে। তাই তাদের চিহ্নিত ও সরানোর কাজ গোটা দেশের নিরাপত্তার জন্য জরুরি। যোগী সরকারের কঠোর অবস্থানের ফলে প্রশাসনিক স্তরে যেমন সচেতনতা বাড়বে, তেমনই ভবিষ্যতে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের দমনেও বড় ভূমিকা নেবে বলে মনে করা হচ্ছে।