বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে (Humayun Kabir) নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। দলের বিরুদ্ধে বারবার মন্তব্য, বিজেপির সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ, আর এবার বাবরি মসজিদের শিলান্যাসকে কেন্দ্র করে ফের তাঁকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই সব মিলিয়ে তিনি এখন রাজ্যের রাজনীতির অন্যতম আলোচিত মুখ। দল (Trinamool Congress) তাঁকে সাসপেন্ড করলেও হুমায়ুন নিজের অবস্থানে আরও অনড় হয়েছেন।
দল থেকে সাসপেন্ড হয়েও নিজের অবস্থানে অনড় হুমায়ুন (Humayun Kabir)
তৃণমূল কংগ্রেস থেকে সাসপেন্ড হওয়ার পরও নিজের অবস্থান থেকে এক ইঞ্চি সরেননি ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, ৬ ডিসেম্বর বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের শিলান্যাস অবশ্যই হবে। তিনি বলেন, “কোনও সতর্কতা নিচ্ছি না। অনুষ্ঠান যেমন হওয়ার তেমনই হবে। ২ হাজার ভলান্টিয়র থাকবে। আমাকে গ্রেপ্তার করতে চাইলে করবে, আমি বাধা দেব না। গ্রেপ্তারের পর আইনের পথে লড়ব।”
এদিন শুধু অনুষ্ঠানের কথা নয়, বারবার মুসলিমদের অধিকার নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। হুমায়ুনের অভিযোগ, রাজ্যে সরকারি টাকায় মন্দির হচ্ছে, দুর্গাপুজোয় অনুদান দেওয়া হচ্ছে অথচ মুসলমানদের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুললেই সমস্যা। অধিকার খর্ব হওয়ার আশঙ্কা থেকেই তিনি দাবি করেন, “দুটো ক্ষতির সম্ভাবনা আছে।”
এরপর আরও বিস্ফোরক মন্তব্য করেন হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। কার্যত হুঙ্কারের সুরে বলেন “এটা কী হিন্দুস্তান? মুসলমানদের কিছু করার অধিকার আছে কিনা, সেটা আগামীদিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বুঝিয়ে দেব। আমাকে গ্রেপ্তার করা ছাড়া উনি কিছু করতে পারবেন না।” তবে এতেই থামেননি তিনি (Humayun Kabir)। প্রকাশ্যে খুনের আশঙ্কাও করেছেন হুমায়ুন। তাঁর অভিযোগ, “আমাকে কাউকে দিয়ে খুন করিয়ে দিতে পারে। আমি নিশ্চয় খুনের আশঙ্কা প্রকাশ করছি। এরা চক্রান্ত করে আমাকে খুন করিয়ে দিতে পারে। খুন হতেও প্রস্তুত আছি। মরতে আমি ভয় পাই না।”
এদিকে একইদিনে বহরমপুরে সভা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেও নাম না করেই হুমায়ুনকে আক্রমণ করেন তিনি। মমতার অভিযোগ করে বলেন, “কেউ-কেউ মুর্শিদাবাদে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছেন। বিজেপির টাকা খেয়ে ভোটের আগে এইসব করেন। এরা দেশের শত্রু।” তবে পাল্টা সুরে হুমায়ুনও (Humayun Kabir) পিছিয়ে থাকেননি। মমতাকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “আগামীতে এই আরএসএস মার্কা মুখ্যমন্ত্রীর থেকে সরাসরি বিজেপির কেউ মুখ্যমন্ত্রী হলে আমি স্বাগত জানাব।”

আরও পড়ুনঃ রোজভ্যালি মামলায় হাই কোর্টের বড় পদক্ষেপ, অডিট গেল নতুন সংস্থার হাতে
বাবরি মসজিদের শিলান্যাসকে কেন্দ্র করে হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir) ও তৃণমূল নেতৃত্বের মধ্যে চলা এই প্রকাশ্য সংঘাতে রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বাড়াতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।












