বাংলা হান্ট ডেস্ক: বছরের শেষে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তথা RBI তাদের মনিটারি পলিসি কমিটির (MPC) বৈঠকের পর একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছে। মূলত, এবার রেপো রেট ০.২৫ শতাংশ কমানো (Repo Rate Cut) হয়েছে। এর ফলে হোম লোন থেকে শুরু করে কার লোনের EMI হ্রাস পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে কম মুদ্রাস্ফীতি এবং GDP গ্রোথের বৃদ্ধির কারণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
রেপো রেট কমাল (Repo Rate Cut) RBI:
রেপো রেট ০.২৫ শতাংশ কমানো হয়েছে: ইতিমধ্যেই RBI গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা ৫ ডিসেম্বর মনিটারি পলিসি কমিটির (MPC) ৩ দিনের বৈঠকের পর রেপো রেট ০.২৫ শতাংশ কমানোর ঘোষণা করেন। জানিয়ে রাখি যে, গত ৩ ডিসেম্বর এই সভা শুরু হয়েছিল এবং শুক্রবার এর ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি ধারাবাহিকভাবে হ্রাস পাওয়া এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের উন্নতির আবহে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গভর্নর জানিয়েছেন যে, এই বছর এখনও পর্যন্ত রেপো রেট মোট ১ শতাংশ কমানো হয়েছে। আগে এটি ৬.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫.৫ শতাংশ করা হয়েছিল। তবে, এবার রেপো রেট ৫.২৫ শতাংশে রাখা হয়েছে। গত ২ টি বৈঠকে রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল।

মুদ্রাস্ফীতি এবং গ্রোথ সম্পর্কে আরবিআইয়ের পূর্বাভাস: RBI জানিয়েছে যে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে মুদ্রাস্ফীতি ২.৬ শতাংশে নেমে আসবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যা ফেব্রুয়ারিতে ৪.২ শতাংশের অনুমানের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে কম। ২০২৬ সালের শেষ ত্রৈমাসিকে মুদ্রাস্ফীতি ৪ শতাংশে পৌঁছবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এর অর্থ হল, আগামী মাসগুলিতে দাম স্থিতিশীল থাকবে। যার ফলে গ্রাহকদের ওপর চাপ কমবে। এদিকে, অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে দেশের GDP বৃদ্ধির হার ৮.২ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছে। যা ১.৫ বছরের মধ্যে দ্রুততম।
আরও পড়ুন: IPL ২০২৬-এর আগেই গোটা ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দিলেন সুনীল নারিন, ধন্য ধন্য করছেন অনুরাগীরা
ঋণের ওপর কী প্রভাব পড়বে: জানিয়ে রাখি যে, রেপো রেট কম হলে ব্যাঙ্কের সুদের হারও প্রভাবিত হবে। মূলত, রেপো রেট কমলে ব্যাঙ্কগুলি সস্তায় ফান্ড পেতে পারে। যা হোম, কার এবং ব্যবসায়িক ঋণের EMI কমাতে পারে। ইতিমধ্যেই রিয়েল এস্টেট সেক্টর এই পদক্ষেপ কে একটি উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্দান্ত রিটার্নের পাশাপাশি পরিবারের জন্য বাড়বে সুরক্ষা! ২ টি দুর্ধর্ষ প্ল্যান লঞ্চ করল LIC
বিশেষজ্ঞরা অনুমান করেন যে, কম সুদের হার বাড়ি কেনাকাটা বাড়িয়ে তুলবে এবং বাজারে লিকুইডিটি বৃদ্ধি করবে। তবে, মাঝারি ও ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলি বলছে যে, ব্যাঙ্কগুলি মার্জিন বাড়ালেই প্রকৃত সুবিধা পাওয়া যাবে।












