বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দেশের আইন পেশায় মহিলাদের উপস্থিতি বাড়লেও বার কাউন্সিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তাঁদের প্রতিনিধিত্ব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্ন ছিল। যোগ্য হয়েও সুযোগ পাচ্ছেন না এই অভিযোগ তুলে শীর্ষ আদালতে মামলা করেছিলেন দুই মহিলা আইনজীবী। সেই অভিযোগই এবার নড়িয়ে দিল সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court)। প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্তের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিল, দেশের প্রতিটি বার কাউন্সিলে মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক।
ফেয়ারওয়েল পার্টিতে নিজের মেয়াদকাল নিয়ে অনুশোচনা প্রকাশ করেছিলেন দেশের ৫২তম প্রধান বিচারপতি বিআর গবাই। বহুবার স্বীকার করেছিলেন নিজের সময়ে কোনও মহিলা বিচারপতিকে উপরে তুলে আনতে পারেননি তিনি। সেই অনুশোচনাই যেন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠল কয়েক মাস পর, যখন শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) নতুন প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত দায়িত্ব গ্রহণ করলেন।
বড় সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court
এই প্রেক্ষিতেই এদিন বড় সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ জানিয়ে দিল, দেশের প্রতিটি রাজ্যভিত্তিক বার কাউন্সিলে মহিলাদের সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক। নির্দেশ স্পষ্ট মহিলাদের জন্য অন্ততপক্ষে ৩০ শতাংশ আসন বরাদ্দ রাখতে হবে। প্রয়োজন হলে নীতিতেও বদল আনতে হবে বার কাউন্সিলকে।
বেঞ্চ জানিয়েছে, সংসদে যেভাবে মহিলা সংরক্ষণ নিশ্চিত করা হয়েছে, ঠিক একইভাবে বার কাউন্সিলগুলিতেও সেই ব্যবস্থা করতে হবে। শুধু প্রতিনিধিত্ব নয়, মহিলারা যাতে বার কাউন্সিলের গুরুত্বপূর্ণ পদে পৌঁছতে পারেন সেটা নিশ্চিত করাও জরুরি। জোর দিয়ে বলেছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)।
এই নির্দেশের পেছনে রয়েছে দুই মহিলা আইনজীবীর দায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলা। তাঁদের অভিযোগ, আইন পেশার বিভিন্ন স্তরে মেয়েরা নিজেদের অবস্থান শক্ত করলেও বার কাউন্সিলে তাঁদের প্রায় দেখা যায় না। যোগ্য হলেও সুযোগের অভাব থেকেই যাচ্ছে। তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের ১৮টি রাজ্যের বার কাউন্সিলে মোট ৪৪১ জন নির্বাচিত প্রতিনিধির মধ্যে মাত্র ৯ জন মহিলা। অর্থাৎ মোটের মাত্র ২ শতাংশ।

এই বঞ্চনার ছবি বিচারপতিদের ভাবিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। আর তাই দেশের বার কাউন্সিলগুলিতে পরিবর্তনের সূচনা করে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক হওয়ায় ভবিষ্যতে মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়বে বলে আশা করছে বিচারমহল।












