এই ২ কোম্পানির মাধ্যমেই বিপুল লক্ষ্মীলাভ করছেন মুকেশ আম্বানি! রিপোর্টে মিলল বড় তথ্য

Published on:

Published on:

Reliance Industries is benefiting from these two companies.
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। মূলত, ভারতের শ্রেষ্ঠ ধনকুবের মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের (Reliance Industries) ক্রেডিট রেটিং বৃদ্ধি করেছে এসএন্ডপি গ্লোবাল রেটিংস।যেখানে এই ক্রেডিট রেটিং ‘BBB+’ থেকে ‘A-‘ তে উন্নীত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই রেটিংটির পাশাপাশি এসএন্ডপি গ্লোবাল রেটিংস রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বিষয়ে স্টেবল আউটলুক তথা স্থিতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রেখেছে। এসএন্ডপি-র মতে, রিলায়েন্সের উপভোক্তা-ভিত্তিক ব্যবসা যেমন ডিজিটাল সার্ভিসেজ এবং রিটেল কোম্পানির আয়কে স্থিতিশীল করছে এবং ক্যাশ ফ্লো শক্তিশালী করছে।

এই ২ সেক্টর মালামাল করছে রিলায়েন্সকে (Reliance Industries):

ডিজিটাল এবং রিটেল বিজনেস থেকে শক্তিশালী আয়: রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ২০২৬ অর্থবর্ষের মধ্যে, রিলায়েন্সের মোট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো-র প্রায় ৬০ শতাংশ ডিজিটাল এবং রিটেল সেক্টর থেকে আসতে পারে। বাকি ৪০ শতাংশ অয়েল-টু-কেমিক্যালস এবং অয়েল-গ্যাস বিজনেস থেকে আসতে পারে। এর অর্থ হল, রিলায়েন্সের আয় এখন হাইড্রোকার্বনের মতো অস্থির ব্যবসা থেকে আরও নির্ভরযোগ্য সেক্টরের দিকে স্থানান্তরিত হচ্ছে। সংস্থাটি আরও অনুমান করেছে যে, ২০২৬ অর্থবর্ষের মধ্যে কোম্পানির EBITDA প্রায় ১.৯৫ লক্ষ কোটিতে পৌঁছতে পারে।

Reliance Industries is benefiting from these two companies.

জিও উপার্জনের ক্ষেত্রে একটি ইঞ্জিনে পরিণত হয়েছে: রিপোর্ট অনুসারে, জিওর ডিজিটাল সার্ভিসেজ সেক্টর রিলায়েন্সের উপার্জনের একটি প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচিত হবে। আগামী ১২ থেকে ২৪ মাসে জিওর ওয়্যারলেস গ্রাহক সংখ্যা ৩ থেকে ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এছাড়াও, দামি প্ল্যান এবং এভারেজ রেভিনিউ পার ইউজার তথা ARPU বাড়বে হবে বলেও আশা করা হচ্ছে। ২০২৬ অর্থবর্ষে ডিজিটাল সার্ভিসেজ এবং জিওস্টার প্রায় ৮০,০০০ কোটি টাকার EBITDA তৈরি করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যা কোম্পানির মোট আয়ের প্রায় ৪৩ শতাংশ হবে।

আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য-শিক্ষা থেকে ভিসা-ফার্টিলাইজার! ভারত-রাশিয়ার মধ্যে সম্পন্ন হল ১৬ টি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি, দেখুন তালিকা

রিটেল বিজনেসের অবদান: এদিকে, রিলায়েন্সের রিটেল বিজনেসও শক্তিশালী ক্যাশ ফ্লো-র মাধ্যমে অবদান রাখবে। ২০২৬ অর্থবর্ষে রিটেল বিজনেস থেকে প্রায় ২৭,০০০ কোটি টাকার EBITDA মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে। যা কোম্পানির মোট আয়ের প্রায় ১৪ শতাংশ। মূলত, দেশজুড়ে নতুন স্টোর খোলা এবং একটি শক্তিশালী সাপ্লাই-চেন নেটওয়ার্কের কারণে রিটেল বিজনেস এখন রিলায়েন্সের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য উপার্জনের ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুন: সচিন-পুত্রের সঙ্গে টক্কর! বৈভব সূর্যবংশী নাকি অর্জুন তেন্ডুলকার, IPL-এ কে পাচ্ছেন বেশি বেতন?

ভবিষ্যতে রিনিউয়েবল এবং নিউ এনার্জিতে বিনিয়োগ: এসএন্ডপি গ্লোবাল রেটিংস আরও জানিয়েছে যে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ সত্ত্বেও, রিলায়েন্স তার শক্তিশালী মার্কেট পজিশন বজায় রাখবে এবং আগামী ১২ থেকে ২৪ মাস ধরে আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখবে। বার্ষিক ক্যপেক্স প্রায় ১.৪ লক্ষ কোটি টাকা হতে পারে। এদিকে, আগামী বছরগুলিতে, কোম্পানিটি রিনিউয়েবল এবং নিউ এনার্জি সেক্টরের বিনিয়োগ বাড়াতে পারে। যা বর্তমানে আয়ে অবদান রাখছে না। তবে আগামী পাঁচ বছরে এটি রিলায়েন্সের জন্য ‘গ্রোথ ড্রাইভার’ হয়ে উঠতে পারে।