বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার পর্ষদের নিয়ম অমান্য করে পরীক্ষা নেওয়ায় স্কুল গুলোর কাছ থেকে তথ্য চেয়ে পাঠালো মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (WBBSE)। ১ ডিসেম্বর এর আগে কোন স্কুল গুলো পরীক্ষা নিয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে জেলা পরিদর্শকদের কাছে। জানা যায় পর্ষদের নির্ধারিত সময়সূচী না মেনে বেশ কিছু স্কুল পরীক্ষা নিতে শুরু করে দিয়েছে। যার ফলে জেলা পর্ষদের কাছ থেকে তথ্য চেয়ে পাঠালো মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
পরীক্ষায় সময়সূচির নিয়মভঙ্গ! রিপোর্ট চাইল পর্ষদ (WBBSE)
এই বিষয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (WBBSE) ডেপুটি সেক্রেটারি ঋতব্রত চট্টোপাধ্যায়ের তরফ থেকে সমস্ত জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এবং তার পরেই সমস্ত স্কুলের কাছ থেকে তথ্য জানতে চেয়েছে জেলা পরিদর্শকেরা। পাশাপাশি কলকাতার মধ্যেই শিক্ষা পর্ষদের অধীনে রয়েছে ৫২২ টি স্কুল। যার মধ্যে ৩০০ একটা বেশি স্কুল এর কাছে চিঠি জবাব জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: সাবান কাজ করছে না? চিমনির জেদি দাগ পরিষ্কার করতে ব্যবহার করুন এই কিচেন হ্যাকগুলো
তবে এর মধ্যে বেশ কিছু স্কুল সময়সূচী ভেঙে তার আগেই পরীক্ষা নিয়েছে। কেন এই নিয়ম ভেঙ্গে পরীক্ষা নিয়েছে তার কারণ দর্শানো হয়েছে। জানা যায় আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক এরা সমস্ত তথ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে পাঠিয়ে দেবেন। পাশাপাশি এ প্রসঙ্গে ভবানীপুর মিত্র ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক রাজাদের জানান, ” আমাদের কাছে কারণ দর্শানোর চিঠি এসেছে। লিখিত পরীক্ষাগুলি আমরা নিয়ম মেনে ১ থেকে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যেই নিচ্ছি। কিন্তু এই মুহূর্তে শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে। অনেকেই বিএলও-র কাজে ব্যস্ত। ফলে সব নিয়ম মান্য করার মতো পরিস্থিতি নেই।”
এছাড়াও, স্কুলগুলিতে কবে হবে তৃতীয় সামেটিভ পরীক্ষা তা আগেই জানিয়ে দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু বহু সরকারি ও সরকার পশিত এবং সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল সেই নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সময়ের আগেই পরীক্ষা নিয়েছে বলে বহু অভিযোগ উঠেছে। সূত্রের খবর দর্শক নির্ধারিত সূচি নাম মেনে বেশ কিছু স্কুল পরীক্ষা। অথচ স্কুলে আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা জানা যায়।
তবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সূচি অনুযায়ী ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীর সামেটিভ পরীক্ষা হওয়ার কথা ১ ডিসেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে সেই পরীক্ষা এগিয়ে আনলো পড়ুয়াদের ক্লাসের সংখ্যা কমে যাবে। যদিও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (WBBSE) তরফ থেকে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল এই বিষয়ে স্কুলগুলিকে। তবে সূত্রের খবর, শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি গঠন করে প্রথম শিক্ষকদের দেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। পাশাপাশি স্কুলে জবাব দিতে সন্তুষ্ট না হলে প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ড করা হতে পারে বলে পর্ষদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।












