বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বেলডাঙায় আজ সেই বহু প্রতীক্ষিত বাবরি মসজিদের (Babri Masjid) শিলান্যাস। অনুষ্ঠান ঘিরে সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে রাজ্যজুড়ে। আয়োজনের দায়িত্বে থাকা তৃণমূল থেকে সদ্য সাসপেন্ড হওয়া ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir) শুক্রবার রাত পর্যন্ত মাঠে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নজরদারি করে দেখেছেন। আদালতের নির্দেশ মেনে গোটা এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। নিরাপত্তার ঘেরাটোপে ঢেকে ফেলা হয়েছে পুরো বেলডাঙা।
বাবরি মসজিদের (Babri Masjid) শিলান্যাসে খরচ হচ্ছে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ লক্ষ টাকা
মরাদিঘি মোড়ের বিশাল মাঠে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত মঞ্চ তৈরির কাজ চলেছে। মাঠের চারদিকে নজরদারিতে রয়েছে কুইক রেসপন্স টিম, র্যাফ, ভিলেজ পুলিশ, মহিলা কনস্টেবল থেকে শুরু করে গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা। আয়োজকদের দাবি, পুরো অনুষ্ঠানে খরচ হয়েছে ৬০-৭০ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে শুধু মঞ্চ তৈরিতেই ব্যয় ১০ লক্ষ টাকা। মাঠে কাজ করছেন ২-৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। খাবারের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৭টি কেটারিং সংস্থাকে, আর দর্শনার্থীদের জন্য তৈরি হচ্ছে ৪০ হাজার শাহি বিরিয়ানি। হুমায়ুন কবীরের দাবি, ২৫ বিঘা জমির এই মাঠে আজ জড়ো হবেন প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ।
শনিবারের শিলান্যাসের সময়সূচি
- সকাল ৮টা – অতিথিদের আগমন, সৌদি আরবের দুই কাজীর কনভয় মাঠে ঢুকবে।
- সকাল ১০টা – কোরান পাঠ।
- দুপুর ১২টা – শিলান্যাসের মূল অনুষ্ঠান।
- দুপুর ২টো – খাওয়াদাওয়া।
- বিকেল ৪টার মধ্যে মাঠ ফাঁকা করতে হবে।
দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে হুমায়ুন কবীরকে সম্প্রতি আজীবনের জন্য সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন, ওই এলাকায় বাবরি মসজিদের (Babri Masjid) নির্মাণ হলে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে কলকাতা হাই কোর্ট ইতিমধ্যেই শিলান্যাসের অনুমতি দিয়েছে, ফলে আজকের অনুষ্ঠানকে ঘিরে কোনও আইনগত বাধা নেই।

আরও পড়ুনঃ মৃত BLO-দের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেবে কমিশন, রাজ্যগুলিকে দেওয়া হল জরুরি বার্তা
গোটা রাজ্যের নজর এখন বেলডাঙায়। বহু মানুষের ভিড়, বিদেশি অতিথি, বিপুল খরচ এবং কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেই আজ হতে চলেছে এই বহুচর্চিত বাবরি মসজিদের (Babri Masjid) শিলান্যাস অনুষ্ঠান।












