বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ চিংড়িঘাটা মেট্রো সম্প্রসারণ প্রকল্পে জট কাটছে না কিছুতেই। দীর্ঘদিন ধরে কাজ আটকে থাকায় ক্ষোভ বাড়ছিল যাত্রী এবং স্থানীয়দের মধ্যে। এবার সেই সমস্যা নিয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ করল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। জমিজট ও প্রশাসনিক অসহযোগিতার অভিযোগে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে তলব করেছে আদালত।
রেলমন্ত্রীর অভিযোগের পরই নড়েচড়ে বসল আদালত (Calcutta High Court)
সম্প্রতি সংসদে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, চিংড়িঘাটা মেট্রো সম্প্রসারণ জমিজটের কারণে আটকে আছে এবং রাজ্যের পক্ষ থেকে সহযোগিতা মিলছে না। নির্মাণকারী সংস্থা আরভিএনএলও হাইকোর্টে দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানিয়েছিল, সমস্যার সমাধানে জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
এরপরই চিংড়িঘাটা এলাকার এক বাসিন্দার জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে তলব করে। প্রকল্পের জটিলতা কীভাবে দূর করা যায়, সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে আদালত।
বারাসত-নোয়াপাড়া মেট্রোতেও একই ছবি
রেলমন্ত্রী সংসদে আরও জানান, শুধু চিংড়িঘাটা নয়, নোয়াপাড়া থেকে বারাসত পর্যন্ত ১৮ কিমি মেট্রো প্রকল্পের কাজও একই কারণে আটকে। নোয়াপাড়া-এয়ারপোর্ট পর্যন্ত পরিষেবা চালু হলেও এয়ারপোর্ট-মাইকেলনগর অংশে কাজ চলছে ধীরে। আর নিউ ব্যারাকপুর-বারাসত ৭.৫ কিমি অংশে জমিজটের কারণে কাজ থমকে আছে বহুদিন। রেলমন্ত্রীর অভিযোগ, রাজ্যের প্রশাসনিক সহযোগিতা না-থাকায় প্রকল্পের কাজ এগোচ্ছে না।
বৈঠক হয়েও মিলল না রাস্তা বন্ধের অনুমতি
আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশে আগেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বৈঠক করেছিলেন। সেখানে রাজ্য সরকার ও পুলিশের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস মেলে। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও প্রয়োজনীয় রাস্তা বন্ধের অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। ফলে নভেম্বরেই কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোপথের বেলেঘাটা ও গৌরকিশোর ঘোষ স্টেশনের মধ্যবর্তী অসম্পূর্ণ অংশও একই কারণে দীর্ঘদিন ধরে আটকে।

আরও পড়ুনঃ কাদের ভোটে মমতার সিংহাসন? সরাসরি বড় ‘তথ্য’ সামনে এনে সাসপেন্ডেড বিধায়ক হুমায়ুন বললেন..
এগোবে কি চিংড়িঘাটা মেট্রো?
এখন নজর আদালতের (Calcutta High Court) পরবর্তী পদক্ষেপে। অ্যাডভোকেট জেনারেলকে তলব করার পর বৈঠকে নতুন কোনও সুরাহা বেরিয়ে আসে কি না, সেদিকেই তাকিয়ে কর্তৃপক্ষ, যাত্রীরা এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। চিংড়িঘাটা মেট্রো চালু হলে বহু মানুষের যাতায়াতে বড় স্বস্তি আনবে। কিন্তু জমিজট ও প্রশাসনিক টালবাহানায় অপেক্ষা আরও দীর্ঘ হচ্ছে।












