বাংলা হান্ট ডেস্ক:রহস্যজনক মৃত্যু হল শাহিনুর আক্তার ওরফে তানিয়ার। বছর ২৫ এর তানিয়া পেশায় নার্স। সোমবার রাতে কাটিয়াদি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তানিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
তানিয়ার মৃত্যু নিয়ে বাস কতৃপক্ষ ও পরিবারের মধ্যে বিভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গিয়েছে।
তানিয়ার পরিবারের লোকজন বলেন,তানিয়া ঢাকায় কাজ করেন। সোমবার বিকেল তিনটে নাগাদ তিনি মহাখালী থেকে স্বর্ণলতা পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন।বাসটি মহাখালী থেকে কাটিয়ে দিবে বাজিতপুর উপজেলা পিরিজপুর বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত যায়।রাত আটটার দিকে বাসটি পৌঁছায় কাটিয়াদি বাসস্ট্যান্ডে। কাটিয়াদি বাস স্ট্যান্ড এ বাসের যাত্রীরা নেমে পড়লেও তানিয়া নামেননি। ওইখান থেকে তানিয়ার ভাই সুজন মিয়ার কে ফোন করে বলেন তিনি পিরিজপুর হয়ে আসবেন।তানিয়া বলেন তিনি ছাড়া বাসে আর কোনো যাত্রী নেই। এরপর থেকে তানিয়ার পরিবারের সদস্যরা তার জন্য অপেক্ষা করছিল।এক ঘণ্টার মধ্যে তানিয়া না পেরে তাঁকে বাড়ি থেকে ফোন করা হয় কিন্তু ফোন সুইচড অফ পাওয়া যায়।ফোন বন্ধ থাকায় দুশ্চিন্তা বেড়ে যায় পরিবারের। তানিয়ার পরিবারের বেশ কয়েকজন লোক তখন পিরিজপুর বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে দেখেন স্বর্ণলতা পরিবহনের বাস পিরিজপুর আসেনি।রাত এগারোটা নাগাদ কাটিয়াদি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ফোনে বলা হয় যে শাহিনুর ওরফে তানিয়া মারা গেছেন। ও তার মরদেহ হাসপাতালে রয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায় রাত ১০:৪৫ এর দিকে দুই ব্যক্তি তানিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যান দুজনের মধ্যে একজন জরুরী বিভাগের তথ্য বইয়ে নিজের নাম আল আমিন লিপিবদ্ধ করায়।ঠিকানা লেখেন কাপাসিয়া উপজেলার।
কাটিয়াদি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা তাজনিনা তৈয়ব তিনি শাহিনুর এর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। তিনি বলেন,’হাসপাতালে আনার আগেই শাহিনুরের মৃত্যু হয়েছে প্রাথমিকভাবে লক্ষ্য করেছি শাহিনুরের ঠোঁটের ডানপাশের এবং বাম চোখের নিচের চামড়া উঠে আছে দুই হাতে আছে চিহ্ন ছিল শরীরের আরো কিছু অংশ ফোলা পাওয়া যায়।’
বাজিতপুর থানার পুলিশ জানিয়েছেন, ওই বাসের চালক এবং চালকের সহকারী কে কাটিয়াদি থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।ময়না তদন্তের জন্য তানিয়ার মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে তানিয়ার বাবা গিয়াস উদ্দিনের দাবি তার মেয়েকে চলন্ত বাসে একা পেয়ে বাসের ড্রাইভার এবং সরকারি ধর্ষণ করেন পরে বাস থেকে ফেলে তাকে হত্যা করেন।