বাংলা হান্ট ডেস্ক: হাতেগোনা আর কয়েকটা দিন। তারপরেই আসতে চলেছে ২০২৬ সাল। আর এই নতুন বছর উপলক্ষে ইতিমধ্যে মাধ্যমিক স্তরে স্কুলগুলি ছুটির তালিকা প্রকাশ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (WBBSE)। ৯ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে ডি.এস একাডেমিক এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। পাশাপাশি পর্ষদের আওতাধীন সমস্ত সরকারি ও সরকার পোষিত এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলোর জন্য এই তালিকা প্রযোজ্য হবে বলেও জানা গিয়েছে। এবার দেখে নিন নতুন বছরে স্কুলগুলিতে মোট কত দিন ছুটি দেওয়া হয়েছে।
একঝলকে দেখুন ২০২৬ সালের মাধ্যমিক স্কুলছুটির সম্পূর্ণ তালিকা (WBBSE)
এই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, নতুন সাল অর্থাৎ ২০২৬ সালে মাধ্যমিক স্কুলগুলিতে (WBBSE) ছুটির দিন ধার্য করা হয়েছে মোট ৬৫ দিন। যার মধ্যে রয়েছে গ্রীষ্মকালীন, পূজোবার্ষিকী ও বিভিন্ন উৎসবের ছুটি। এছাড়াও শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মী সহ ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার্থে পর্ষদের তরফ থেকে এই ছুটির একটি তালিকা নিচে দেওয়া হল। তা একবার দেখে নিন।

আরও পড়ুন: নতুন চমক দিঘায়! বর্ষবরণ উৎসবে প্রমোদতরী ও আতশবাজির সঙ্গে রাত হবে আনন্দময় ও স্মরণীয়
২০২৬ সালের মাধ্যমিক স্কুলগুলোর ছুটির তালিকা:
জানুয়ারি – এপ্রিল পর্ব
১ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার): ইংরেজি নববর্ষ।
১২ জানুয়ারি (সোমবার): স্বামী বিবেকানন্দ জয়ন্তী।
২২ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার): সরস্বতী পূজার আগের দিন।
২৩ জানুয়ারি (শুক্রবার): সরস্বতী পূজা, নেতাজি জন্মজয়ন্তী (বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে হবে ছাত্র-ছাত্রীদের, কিন্তু ক্লাস হবে না)।
২৬ জানুয়ারি (সোমবার): সাধারণতন্ত্র দিবস (বিদ্যালয়ে পালন করা হবে সাধারনতন্ত্র দিবস, ক্লাস হবে না)।
৪ ফেব্রুয়ারি (বুধবার): শবে-বরাত।
১৪ ফেব্রুয়ারি (শনিবার): ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার জন্মদিবস।
১৫ ফেব্রুয়ারি (রবিবার): শিবরাত্রি।
৩ মার্চ (মঙ্গলবার): দোলযাত্রা।
৪ মার্চ (বুধবার): হোলি (দোলযাত্রার পরের দিন)।
১৭ মার্চ (মঙ্গলবার): শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিবস।
২০ মার্চ (শুক্রবার): ইদ-উল-ফিতর এর আগের দিন।
২১ মার্চ (শনিবার): ইদ-উল-ফিতর।
২৬ মার্চ (বৃহস্পতিবার): রাম নবমী।
৩১ মার্চ (মঙ্গলবার): মহাবীর জয়ন্তী।
৩ এপ্রিল (শুক্রবার): গুড ফ্রাইডে।
১৪ এপ্রিল (মঙ্গলবার): ডঃ বি.আর. আম্বেদকরের জন্মদিবস।
১৫ এপ্রিল (বুধবার): বাংলা নববর্ষ।
মে – আগস্ট পর্ব (গ্রীষ্মাবকাশ সহ)
১ মে (শুক্রবার): মে দিবস, বুদ্ধ পূর্ণিমা ও পন্ডিত রঘুনাথ মুর্মুর জন্মদিবস।
৯ মে (শনিবার): রবীন্দ্র জয়ন্তী।
১১ মে – ১৬ মে (সোমবার – শনিবার): গ্রীষ্মাবকাশ (মোট ৬ দিন)।
২৬ মে (মঙ্গলবার): ইদ-উদ-জোহা (বকরি ইদ)-এর আগের দিন।
২৭ মে (বুধবার): ইদ-উদ-জোহা (বকরি ইদ)।
২৬ জুন (শুক্রবার): মহরম।
১৬ জুলাই (বৃহস্পতিবার): রথযাত্রা।
১৫ আগস্ট (শনিবার): স্বাধীনতা দিবস (বিদ্যালয়ে উপস্থিত থেকে পালন হবে, তবে ক্লাস হবে না)।
২৬ আগস্ট (বুধবার): ফতেহা দোয়াজ দাহাম।
২৮ আগস্ট (শুক্রবার): রাখি বন্ধন।
সেপ্টেম্বর – ডিসেম্বর পর্ব (পূজাবকাশ সহ)
৪ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার): জন্মাষ্টমী।
১৭ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার): বিশ্বকর্মা পূজা।
২ অক্টোবর (শুক্রবার): গান্ধী জয়ন্তী।
১০ অক্টোবর (শনিবার): মহালয়া।
১৫ অক্টোবর – ১২ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার – বৃহস্পতিবার): পূজাবকাশ
১৫ নভেম্বর (রবিবার): বিরসা মুন্ডার জন্মদিবস ও ছট পূজা।
১৬ নভেম্বর (সোমবার): ছট পূজা (অতিরিক্ত দিন)।
২৪ নভেম্বর (মঙ্গলবার): গুরু নানকের জন্মদিবস ও পার্শ্বনাথের রথযাত্রা।
২৫ ডিসেম্বর (শুক্রবার): বড়দিন।
এছাড়া প্রধান শিক্ষকের বিচারাধীন হিসাবে বছরে একটি ছুটি পাওয়া যাবে। তাছাড়া সম্প্রদায়গত ছুটি হিসাবে যে দিন গুলো রয়েছে যা নিচে আলোচনা করা হল।
১ ফেব্রুয়ারি (রবিবার): গুরু রবিদাসের জন্মদিন ও বীর চিলারাই-এর জন্মদিবস।
৪ এপ্রিল (শনিবার): ইস্টার স্যাটারডে (খ্রীষ্টান জন্য)।
৩০ জুন (মঙ্গলবার): হুল দিবস (আদিবাসী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের জন্য)।
করম পূজা: রাজ্য সরকার ঘোষিত দিনেই কার্যকরী হবে।
এর পাশাপাশি দার্জিলিং ও কালিম্পং ১৩ জুলাই অর্থাৎ সোমবার কবি ভানু ভক্তের জন্মদিন উপলক্ষে ছুটি থাকবে। তাছাড়া পর্ষদের (WBBSE) তরফ থেকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২৩ শে জানুয়ারি, ১৫ই আগস্ট, ৫ ই সেপ্টেম্বর, ২৬ শে সেপ্টেম্বর এই দিনগুলিতে বিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীকে উপস্থিত থাকতে হবেই। তবে এই দিনগুলি কোন ক্লাস হবে না।












