বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের মূর্তি ভাঙা হল বাংলার মাটিতে। কালিমূর্তির পর এবার দুষ্কৃতীদের হাত থেকে রেহাই পেল না বজরংবলীর মূর্তিও। বুধবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কুলপিতে (Kulpi) হওয়া ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল গোটা এলাকায়। কারা এর নেপথ্যে? বাংলায় দাঁড়িয়ে বারংবার হিন্দু দেবতার মূর্তি ভাঙার দুঃসাহস কারা দেখাচ্ছে? এই নিয়েই অবিলম্বে প্রশাসনকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোরালো দাবি জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
দোষীদের শাস্তির দাবি তুলে সরব শুভেন্দু | Suvendu Adhikari
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লিখেছেন, “দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কুলপি বিধানসভার রামকৃষ্ণপুর অঞ্চলে সিঙ্গির হাট মোড় এলাকায় স্থিত বজরংবলী মন্দিরে বজরংবলীর মূর্তির মাথা কেটে নেওয়া হল গতকাল রাত্রে। সেই সাথে মন্দিরের আরতির মাইক সেট টিও ভাঙচুর করা হয়েছে। অবিলম্বে প্রশাসনের কাছে দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করছি।”
রাজ্য সরকারকে তোপ দেগে শুভেন্দু লিখেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের আস্থা এবং বিশ্বাসের উপর এখন প্রতিনিয়ত আক্রমণ ঘটে চলেছে। হিন্দুদের আরাধ্য দেবদেবীর মূর্তি ভাঙচুর করা হচ্ছে। কাকদ্বীপ থেকে মন্দির বাজার সর্বত্র এই প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। খোদ মমতা পুলিশ মা কালীকে প্রিজন ভ্যান-এ তুলছে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে এ দৃশ্য ও রাজ্যবাসী দেখেছে।”

আরও পড়ুন: নতুন বছরে কত দিন ছুটি? ২০২৬ সালের মাধ্যমিক স্কুলগুলির অফিসিয়াল হলিডে লিস্ট দেখে নিন
বিরোধী দলনেতা বলছেন, “মমতা পুলিশ জঙ্গি জিহাদীদের গ্রেফতার না করে, উল্টে সনাতনীদের ভাবাবেগ ও অনুভূতিতে আঘাত লাগায় তারা আন্দোলন ও প্রতিবাদ করলে নির্বিচারে তাদের ধরপাকড় করছে।”
শুভেন্দুর কথায়, “আসলে বর্তমান তোষনকারী সরকারের আমলে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা শেষ হয়ে গেছে, তাই প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেওয়ার কারণে তাদের উৎসাহিত করা হচ্ছে, যে কারণে এই প্রবণতা দিন প্রতিদিন বেড়েই চলেছে।”












