বাংলাহান্ট ডেস্ক : রমা দাশগুপ্ত, এই নামটার সাথে বাঙালি যতটা না পরিচিত, তার থেকে বেশি পরিচিত এই ব্যক্তির অন্য একটি নামে। সেই নামটি হল সুচিত্রা সেন। হ্যাঁ, বাঙালির চির কালের স্বপ্ন সুন্দরী। সুচিত্রা সেন নামটাই যথেষ্ট বাঙালির কাছে। পর্দায় তুখোড় অভিনয় থেকে শুরু করে পটল চেরা চোখের চাহুনি, আজও বাঙালির রোমাঞ্চ আটকে সুচিত্রায়।
করুণাময় দাশগুপ্ত এবং ইন্দিরা দাশগুপ্তর সন্তান সুচিত্রা ওরফে রমা। জানা যায় পরিবারের সাথে একবার পুরী বেড়াতে গিয়েছিলেন সুচিত্রা সেন। সেখানে তাকে এক দেখাতেই পছন্দ করে ফেলেন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার দিবানাথ সেনের ঠাকুরমা। তিনি দিবানাথ সেনের জন্য সুচিত্রাকে নিজের ঘরের বউ করে আনার প্রস্তাব দেন দাশগুপ্ত পরিবারকে।
আরোও পড়ুন : সামার ভ্যাকেশন তো কী হয়েছে! হাজির হতে হবে স্কুলে, এবার শিক্ষকদের জন্য এল নয়া নির্দেশিকা
কলকাতার বর্ধিষ্ণু পরিবারের সন্তান ছিলেন দিবানাথ। দাসগুপ্ত পরিবার অর্থাৎ সুচিত্রা সেনের বাবা-মা তাই এই বিয়েতে অমত করেননি। মাত্র ১৬ বছর বয়সে খানিকটা সুচিত্রা সেনের অমতেই তার বিয়ে হয়ে যায় দিবানাথের সাথে। বিয়ের পর সুচিত্রা আসেন বালিগঞ্জ প্লেসের প্রাসাদোপম শ্বশুরবাড়িতে। কিন্তু এই বাড়িতে মন টিকত না তার।
আরোও পড়ুন : দীঘায় এবার ডবল মজা! শুরু হল দুর্দান্ত এই পরিষেবা, গরমে বেড়াতে গেলেও ফুরফুরে হয়ে যাবেন
পরে জানা যায় দিবানাথ সেনের ছিল উশৃঙ্খল জীবন। সেন পরিবার ছেলেকে সোজা পথে আনার জন্য ঘরে সুন্দরী বউ আনে। তবে বিয়ের পর দিবানাথ আরো উশৃঙ্খল হয়ে ওঠে। বিয়ের এক বছরের মধ্যে সুচিত্রা সেন জন্ম দিয়েছিলেন একটি পুত্র সন্তানের। তবে সেই সন্তান বাঁচেনি। এরপর শ্বশুরবাড়িতে সুচিত্রার উপর শুরু হয় অত্যাচার।
এই পরিস্থিতিতে দিবানাথ সুচিত্রার সৌন্দর্যকে কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন। এরপরই বদলে যায় সুচিত্রার ভাগ্য। ধীরে ধীরে টলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করতে শুরু করেন তিনি। তবে ব্যক্তিগত জীবনে ক্রমাগত অশান্তি বাড়তে থাকে স্বামীর সাথে। শোনা যায় একটা সময় সুচিত্রাকে সহ্য করতে পারতেন না দিবানাথ।
সুচিত্রার সৌন্দর্য নষ্ট করে দেওয়ার জন্য স্ত্রীর মুখে অ্যাসিডও ছুড়েছিলেন তিনি। তবে এই ঘটনার পর থেকে সুচিত্রা আলাদা হয়ে যান। ডিভোর্স না হলেও আলাদা থাকতে শুরু করেন সুচিত্রা। নিজের হাতে মানুষ করেছেন কন্যা মুনমুনকে। তবুও একাকীত্ব থেকে আকর্ষিত হননি অন্য পুরুষের প্রতি। সুচিত্রা সেন সুশৃঙ্খল জীবনের মাধ্যমে তৈরি করেছেন এক অনন্য উদাহরণ।