বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ চিংড়িঘাটা মেট্রো সম্প্রসারণ (Chingrighata metro work) প্রকল্প নিয়ে ফের রাজ্যকে কড়া বার্তা দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। চিংড়িঘাটা মেট্রো সম্প্রসারণ জমিজটের কারণে আটকে আছে এবং রাজ্যের পক্ষ থেকে সহযোগিতা মিলছে না বলে অভিযোগ করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। রেলমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, যদি রাজ্য নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেয়, তাহলে রাতে আট ঘণ্টা করে কাজ করলে মাত্র তিন দিনেই কাজ সম্পন্ন করা যাবে।
চিংড়িহাটা মেট্রো নিয়ে কী নির্দেশ হাইকোর্টের? Calcutta High Court
রাজ্যের যুক্তি, চিংড়িঘাটায় ৩৬৬ মিটার না জোড়ায় অরেঞ্জ লাইনের ওই অংশের মেট্রো পরিষেবা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। আদালতে রাজ্য জানিয়েছে, ওই রাস্তা বন্ধ করে কাজ হলে সাধারণ মানুষকে অসুবিধায় পড়তে হবে। বারংবার এই একই যুক্তি দিয়ে এসেছে রাজ্য।
বৃহস্পতিবার এই মামলাটি ফের ওঠে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পালের ডিভিশন বেঞ্চে। বিচারপতি বলেন, “কোভিড যদি আবার ফেরত না আসে, তাহলে রাস্তায় গাড়ির চাপ কোনওদিনই কমবে না।”
রাজ্যকে আদালতের পরামর্শ, “খোলা মনে আলোচনায় বসুন, সমাধান সূত্র বেরোবে।” রাজ্য তরফে জানানো হয়, সাবওয়ের কাজ না হলে সাধারণ মানুষের সমস্যা হবে।
এ কথা শুনে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, “কোনও না কোনওদিন তো কাজ করতেই হবে, আর সেদিন তো যান নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে।” উল্লেখ্য, বুধবারই এই জট কাটাতে কেন্দ্র, রাজ্য এবং আরভিএনএল(RVNL) আধিকারিকদের মধ্যে বৈঠক হয়।
সেই বৈঠকে কেন্দ্র আরভিএনএল-কে বলেছে যে রাজ্য যা চাইছে, তা আগে করতে হবে। রাজ্যের এজি একথা জানান আদালতে। আবার বৈঠক হলে তিনি নিজে উপস্থিত থাকবেন বলেও আদালতে বলেছেন। তবে সবশেষে এখনও চিংড়িঘাটা মেট্রো সম্প্রসারণ নিয়ে জটলা অব্যাহত।

আরও পড়ুন: ভোটের আগে নয়া ‘চমক’! কেন্দ্রের মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে পারে বাংলার দুই সাংসদ, কাদের নিয়ে জল্পনা?
বৃহস্পতিবার মেট্রোরেলের বকেয়া কাজ মেটাতে রাজ্য ও মেট্রোরেল-সহ অন্যান্য সব পক্ষকে ফের বৈঠকে বসার নির্দেশ আদালতের। শুক্রবার রাজ্যকে প্রতিনিধির নাম জানানোর কথা বলা হয়েছে। কবে, কখন, কোথায় এই বৈঠক করা হলে সুবিধা হবে তা সবপক্ষের সম্মতি নিয়ে আদালত ঠিক করবে।












