Waqf পঞ্জিকরণে রাজ্যের সেরা দুই জেলা, ‘উমিদ পোর্টাল’ নিয়ে গুজবে কড়া জবাব দিল নবান্ন

Published on:

Published on:

Nabanna Clears Rumours on Waqf Portal Drive
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে ওয়াকফ সম্পত্তির নথিভুক্তিকরণ নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অনেক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এর মধ্যেই সবচেয়ে বড়ো সাফল্য দেখাল নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলা। কেন্দ্রের নতুন ‘উমিদ’ পোর্টালে খুব দ্রুত গতিতে ওয়াকফ সম্পত্তির তথ্য আপলোড করছে এই দুই জেলা। আর মানুষের মনে যে ভয় ও আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল, তা দূর করতে নবান্ন (Nabanna) বুধবার বিস্তারিত ব্যাখ্যাও দিয়েছে।

নদিয়া–মুর্শিদাবাদে নজির

রাজ্য ওয়াকফ বোর্ড জানিয়েছে, নদিয়ায় মোট ১১৯৯টি ওয়াকফ সম্পত্তির মধ্যে ১১০২টির তথ্য আপলোড হয়ে গেছে। সাফল্যের হার ৯২%। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মুর্শিদাবাদ। এখানে ৪৪৮৬টির মধ্যে ৩৪৭১টির এন্ট্রি হয়ে গেছে। সাফল্যের হার ৭৭.৩৭%। মালদহ ও হাওড়াতেও প্রায় ৪০% কাজ শেষ বলে খবর সূত্রের। অন্যান্য জেলাতেও ব্লক ও জেলা স্তরে হেল্প ডেস্ক খুলে দ্রুত কাজ চলছে। এই দ্রুত কাজের লক্ষ্য হল- সুপ্রিম কোর্টের সময়সীমার আগেই রাজ্যে ১০০% ডিজিটাল ওয়াকফ পঞ্জিকরণ শেষ করা।

জমি সংক্রান্ত গুজব সম্পূর্ণ ভুল, জানাল নবান্ন (Nabanna)

অনেকেই ভাবছিলেন, নতুন পোর্টালে নাম তুললেই নাকি জমি কেন্দ্রের হাতে চলে যাবে। এই ভয়ের কারণেই মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছিলেন। এই নিয়ে নবান্ন (Nabanna) স্পষ্ট বলেছে যে, পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৮ হাজার ওয়াকফ এস্টেট ও ৮২ হাজার সম্পত্তির তথ্য আগেই কেন্দ্রের পুরনো WAMSI পোর্টালে ছিল। আগে তথ্য দিত রাজ্য ওয়াকফ বোর্ড, এখন উমিদ পোর্টালে তথ্য দেবেন মুতওয়াল্লিরা। একমাত্র এইটাই পরিবর্তন। এর সাথে জমি হারানো বা কেন্দ্রের দখলে চলে যাওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। পুরোটা ভিত্তিহীন গুজব।

৫ ডিসেম্বর শেষ সময়সীমা ছিল বলে অনেকেই আতঙ্কে ছিলেন। রাজ্য সরকার জানায়, যারা কাজ শেষ করতে পারেননি, তাঁদের ভয় পাওয়ার দরকার নেই। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ওয়াকফ ট্রাইব্যুনাল চাইলে আইন মেনে আরও ৬ মাস সময় বাড়াতে পারে। অর্থাৎ, এখনই তাড়াহুড়োর দরকার নেই।

কিছু মহল দাবি করছিল যে, মসজিদ, কবরস্থানের জমি নাকি ‘কালেক্টরের খতিয়ান নম্বর ১’-এ ঢোকানো হচ্ছে। নবান্ন (Nabanna) তারও জবাব দিয়েছে। নবান্ন তরফে জানানো হয়েছে এটি বহু পুরনো ভূমি সংস্কার আইনের একটা বিষয়। বড় রায়ত বা জমিদাররা ধর্মীয় কাজে জমি দান করলে সেই জমি এই খতিয়ানে নথিভুক্ত হত। এর সঙ্গে বর্তমান ওয়াকফ নথিভুক্তিকরণের কোনও সম্পর্ক নেই। রাজ্য সরকার কখনওই এতে হস্তক্ষেপ করেনি।

Nabanna Clears Land Transfer for Mahakal Temple

আরও পড়ুনঃ “আদালত অবমাননা আইন বিচারকদের ঢাল নয়”, কোন মামলায় এমন কড়া মন্তব্য শীর্ষ আদালতের?

নবান্ন (Nabanna) থেকে রাজ্য সরকারের এক ঊর্ধ্বতন আধিকারিক বলেন, “নদিয়া–মুর্শিদাবাদ প্রমাণ করে দিচ্ছে, মানুষ সরকারের ওপর ভরসা রেখেছে। গুজব না শুনে নিশ্চিন্তে কাজ করুন। রাজ্য সরকার সব সম্পত্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।”