ভোটার লিস্ট প্রকাশে কাউন্টডাউন শুরু! আপনার নাম আছে তো? দেখে নেওয়ার উপায় জানুন

Published on:

Published on:

Election Commission Extends Draft Roll Deadline Again
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে ভোটার তালিকা তৈরির কাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) সর্বশেষ তথ্য বলছে, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ শতাংশ এনুমারেশন ফর্ম বিলি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। শুধু তাই নয়, ৯৯.৯৬ শতাংশ ফর্মের ডিজিটাইজেশনও শেষ হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ এবার খসড়া তালিকা প্রকাশের প্রস্তুতি পুরোপুরি সম্পূর্ণ। আগামী ১৬ ডিসেম্বর সামনে আসছে নতুন খসড়া ভোটার লিস্ট। মানুষ নিজের নাম তালিকায় রয়েছে কি না তা দেখতে পারবেন অফলাইন ও অনলাইন, দুইভাবেই।

কোথায় কোথায় পাওয়া যাবে তালিকা?

বিএলও-র কাছে রাখা থাকবে ভোটার তালিকা। রাজনৈতিক দলগুলিকে দেওয়া হবে সফট কপি। জেলা থেকে পাওয়া যাবে প্রিন্টেড কপি। অনলাইনে দেখা যাবে DEO ও CEO-র অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে। সেখানেই খুব সহজেই নিজের নাম খুঁজে নেওয়া যাবে।

নাম বাদ গেলে কী হবে? জানাল কমিশন (Election Commission)

সূত্রের খবর, যাদের নাম বাদ যাবে, তাদের তথ্য ১৬ ডিসেম্বরের পর রাজনৈতিক দলগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হবে। সেই সময় থেকেই অনলাইনেও দেখা যাবে নাম আছে কি না। যাঁদের নাম থাকবে না, তাঁদের অনলাইনে ফর্ম ৬ ফিলআপ করতে হবে। এর সঙ্গে Annexure 4 জমা দিতে হবে। সাহায্যের জন্য বিএলও-র কাছেও যেতে পারবেন। এরপর তারপর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছে ডাক যাবে। হিয়ারিংয়ের জন্য SDO অফিস, DM অফিস, কিংবা আশেপাশের কোনও স্কুল–কলেজে যেতে হতে পারে।

Election Commission Awaits Final Call on BLO Compensation, SIR Delay Update

আরও পরুনঃ আবেদন জমা পড়ল ৬০ হাজার! শূন্য পদ কত? প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে বড় আপডেট

এর আগে একবার ৯ ডিসেম্বর তালিকা প্রকাশের কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারিখ পিছিয়ে খসড়া তালিকা প্রকাশের নতুন তারিখ দেওয়া হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। আবার চূড়ান্ত তালিকা ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পিছিয়ে করা হয়েছে ১৪ ফেব্রুয়ারি। এদিন কমিশন (Election Commission) জানাল, আরও একবার ৫টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে খসড়া তালিকা প্রকাশের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। নতুন তারিখগুলো হল –

  • তামিলনাড়ু ও গুজরাট – ১৯ ডিসেম্বর
  • মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিসগঢ় ও আন্দামান নিকোবার – ২৩ ডিসেম্বর
  • উত্তরপ্রদেশ – ৩১ ডিসেম্বর

এইভাবে সারা দেশে ভোটার তালিকা প্রস্তুতির সময়সীমা আবারও কিছুটা বাড়াল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।