বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজনৈতিক সমাবেশ মানেই ব্রিগেড (Brigade) প্যারেড গ্রাউন্ড। স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে শুরু করে নেহরুর ঐতিহাসিক ভাষণ, কলকাতার এই মাঠ বহু রাজনৈতিক ঘটনার সাক্ষী। সেই ব্রিগেডেই হয়েছে বামেদের উত্থান ও পতন, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম বড় সভাও দেখেছে এই মাঠ।
ব্রিগেডে (Brigade) এবার হতে চলেছে ‘লক্ষ কন্ঠে হরিনাম’
কিছুদিন আগে এই ব্রিগেডে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘পাঁচ লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠ’ কর্মসূচি। সেই ব্রিগেডেই এবার হতে চলেছে ‘লক্ষ কণ্ঠে হরিনাম সংকীর্তন’। শুক্রবার অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের গোসা পরিষদের সভাপতি নান্টু হালদার ঘোষণা করেন, জানুয়ারি মাসে ব্রিগেডে হবে এই বড় ধর্মীয় কর্মসূচি। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, “এটা পুরোপুরি অরাজনৈতিক অনুষ্ঠান। লক্ষ মানুষের কণ্ঠে একসাথে হরিনাম হবে।”
তবে আয়োজনকে “অরাজনৈতিক” বললেও এর পেছনে বড় কারণ রয়েছে। নান্টু হালদারের দাবি, ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন চলছে। সেই প্রক্রিয়ায় মতুয়াদের নাম যাতে বাদ না যায়, সেই আবেদন জানাতেই হরিনাম শেষে নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জি জানানো হবে। তিনি আরও জানান, সিএএ ফর্ম ফিল-আপ করেও মতুয়ারা এখনও নাগরিকত্ব পাননি, এই অভিযোগও জানানো হবে সভা থেকে। এই বিষয়েই তাঁদের ক্ষোভ রয়েছে।
এই ‘সিএএ ক্ষোভে’ অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। এদিন BJP নেতা প্রিয়াংগু পাণ্ডে বলেন, “CAA নিয়ে হয় তাঁরা ভুল বুঝেছেন, নয়তো কেউ ভুল বুঝিয়েছেন। সব হিন্দুই নাগরিকত্ব পাবেন। আমন্ত্রণ পেলে আমরা হরিনামে যাব। তবে গীতাপাঠের সময় মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তিনি যাননি।”

আরও পড়ুনঃ আবেদন জমা পড়ল ৬০ হাজার! শূন্য পদ কত? প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে বড় আপডেট
সব মিলিয়ে ব্রিগেড (Brigade) আবারও বড় জমায়েতের সাক্ষী হতে চলেছে। তবে এবার রাজনৈতিক কারণ নয়, ধর্মীয় সুরে এবং নাগরিকত্ব নিয়ে মতুয়াদের দাবি ঘিরে হবে বলে জানানো হয়েছে।












