বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আড়াই বছর জেলে কাটিয়ে মুক্তি পেয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তাঁর গ্রেপ্তারের আগের রাতে বান্ধবীর টলিগঞ্জ আর বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল স্তরে স্তরে সাজানো টাকা আর প্রচুর সোনার গয়না। কোন ফ্ল্যাটে বেশি টাকা আছে, তা নিয়ে তদন্তকারীরাও তখন বিভ্রান্ত হয়ে গিয়েছিলেন। আর এবার সামনে এল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আয়-সম্পত্তির সরকারিভাবে জমা দেওয়া খতিয়ান।
কয়েক বছরে কমেছে পার্থর (Partha Chatterjee) আয়
হলফনামার হিসাবে দেখা যাচ্ছে, বছরের পর বছর পার্থর আয় কমতেই থেকেছে—
- ২০১৫–১৬: আয় ৮,৩৭,০০১ টাকা
- ২০১৬–১৭: কমে দাঁড়ায় ৭,৩০,৭৩৮ টাকা
- ২০১৭–১৮: আরও কমে ৬,৩৩,৬১২ টাকা
- ২০১৮–১৯: আয় নেমে যায় ৪,৭৯,৩৫০ টাকায়
- ২০১৯–২০: কিছুটা বেড়ে হয় ৫,৩৯,৭২০ টাকা
পার্থর স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর ২০১৫–১৬ সালের আয় দেখানো হয়েছে ৬,১৭,০৫১ টাকা।
ব্যাঙ্কে কত টাকা ছিল পার্থর?
২০২১ সালের হলফনামায় যা পাওয়া যায়—
- হাতে নগদ ছিল ১,৪৮,৬৭৬ টাকা
- স্টেট ব্যাঙ্কের এক অ্যাকাউন্টে ছিল ২৪,৮১,০০২ টাকা
- একই ব্যাঙ্কের অন্য শাখায় ছিল ১৫,০১,১৬১ টাকা
আরও তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মিলিয়ে ছিল ২৩,৩২,৯৩৫ টাকা, ২২,৩৯৪ টাকা ও ১,০৮,৬৯৫ টাকা। এ ছাড়া একটিমাত্র LIC পলিসিতে বিনিয়োগ করা ছিল ২৫ লক্ষ টাকা। হলফনামায় স্পষ্ট লেখা তাঁর নামে কোনও সোনা নেই, নেই একটি গাড়িও। সব মিলিয়ে অস্থাবর সম্পত্তি হয়েছে ৯০,৯৪,৮৬৩ টাকা।
স্থাবর সম্পত্তির হিসেবে বলা আছে পার্থর (Partha Chatterjee) নামে কোনও জমি নেই, নেই কোনও বাণিজ্যিক বাড়িও। তাঁর একমাত্র সম্পত্তি নাকতলার বাড়ি। বাড়িটি দেড় কাঠা জমির উপর, আয়তন ২২০০ স্কোয়ার ফুট। জমিটি তিনি পেয়েছেন বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে। বাড়ি বানাতে ১৯৮৯ সালে খরচ হয়েছিল ৫ লক্ষ টাকা। ২০২১ সালের হিসাবে একই বাড়ির মূল্য দাঁড়িয়েছে ২৫ লক্ষ টাকা। বাড়ি তৈরির টাকার উৎস হিসেবে উল্লেখ রয়েছে নিজের বেতন ও ব্যাঙ্কের সুদ।

আরও পড়ুনঃ পার্ক সার্কাসে ফিরল সার্কাস, কিন্তু থামাল হাইকোর্ট! কী নিয়ে উঠল মামলা?
পার্থকে (Partha Chatterjee) গ্রেপ্তারের সময় কোটি কোটি টাকার উদ্ধার নিয়ে যা হইচই হয়েছিল, ২০২১-এর হলফনামায় তার কিছুই নেই। এখন মুক্তির পর আবার রাজনৈতিক ময়দানে ফেরা নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে।












