বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে রেলের (Indian Railways) যাত্রী সংখ্যা। এমতাবস্থায়, ক্রমবর্ধমান যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে এবং তাঁদের সুবিধার্থে নেওয়া হচ্ছে একের পর এক বড় পদক্ষেপ। সেই রেশ বজায় রেখেই রেল যাত্রীদের জন্য সামনে এল একটি দুর্দান্ত সুখবর। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এই গ্রীষ্মে ভ্রমণের চাহিদা আনুমানিক বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে, যাত্রীদের জন্য রেল মন্ত্রক অতিরিক্ত ট্রেনের সংখ্যা ৪৩ শতাংশ বাড়াতে চলেছে। যার ফলে যাত্রীদের তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে ট্রেনের অভাব ঘটবে না।
ইতিমধ্যেই রেল মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, যাত্রীদের সুবিধা নিশ্চিত করতে এবং গ্রীষ্মে ভ্রমণের চাহিদার আনুমানিক বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে, রেল গ্রীষ্মের মরশুমে ট্রেনের ৯,১১১ টি ট্রিপ পরিচালনা করতে চলেছে। মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, “এটি ২০২৩ সালের গ্রীষ্মের তুলনায় একটি উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধিকে চিহ্নিত করে।” এদিকে, আরও জানানো হয়েছে যে, মোট ৬,৩৬৯ টি অতিরিক্ত ট্রেনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, ট্রেনের ট্রিপের সংখ্যা ২,৭৪২ টি বেড়েছে। এমতাবস্থায়, মন্ত্রক বলেছে, “এটি যাত্রীদের চাহিদা কার্যকরভাবে মেটাতে ভারতীয় রেলের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে।”
পশ্চিম রেলওয়ে সর্বোচ্চ ১,৮৭৮ টি ট্রেন চালাবে: রেল মন্ত্রক এটাও জানিয়েছে, প্রধান রেল রুটে নির্বিঘ্নে ভ্রমণ নিশ্চিত করার জন্য সারা দেশের প্রধান গন্তব্যগুলিকে সংযুক্ত করার লক্ষ্যে অতিরিক্ত ট্রেনগুলি সতর্কতার সাথে পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই ৯,১১১ টি অতিরিক্ত ট্রেনের মধ্যে, পশ্চিম রেলওয়ে সর্বাধিক ১,৮৭৮ টি ট্রেন পরিচালনা করবে। এরপরে, উত্তর পশ্চিম রেলওয়ে ১,৬২৩ টি অতিরিক্ত ট্রেন চালাবে এবং দক্ষিণ-মধ্য রেলওয়ে ১,০১২ টি ও পূর্ব-মধ্য রেলওয়ে ১,০০০ টি ট্রেন পরিচালনা করবে।
আরও পড়ুন: “ভারত বদলাচ্ছে, নয়া যুগের শুভারম্ভ”, মোদী সরকারের ভূয়সী প্রশংসা CJI চন্দ্রচূড়ের গলায়
জোনাল রেলওয়ে প্রস্তুত: রেল মন্ত্রক বলেছে যে, “সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা সমস্ত জোনাল রেলওয়েগুলি গ্রীষ্মকালে তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, দিল্লি, ঝাড়খণ্ড মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থান থেকে অতিরিক্ত ট্রেন পরিচালনার জন্য প্রস্তুত।”
আরও পড়ুন: নীল, সাদা থেকে গেরুয়া! ভোটের আবহে বদলে গেল প্রসার ভারতীর রং! দেশজুড়ে নয়া বিতর্ক
কেন মন্ত্রক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে: উল্লেখ্য যে, পিআরএস সিস্টেমে ওয়েটিং লিস্টে থাকা যাত্রীদের বিবরণ ছাড়াও মিডিয়া রিপোর্ট, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এবং রেলওয়ে হেল্পলাইন নম্বর ১৩৯ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মন্ত্রক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জন্য গিয়েছে।