বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে চরম আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে পড়শি দেশ পাকিস্তান (Pakistan)। এমতাবস্থায়, ধুঁকতে থাকা অর্থনীতির আবহে সাহায্যের জন্য বিভিন্ন দেশের কাছে হাত পাততে হচ্ছে পাকিস্তানকে। তবে, এই আবহেই এবার বিরাট বিপর্যয়ের সম্মুখীন হল ওই দেশ। মূলত গত কয়েকদিন ধরে পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় তুমুল বৃষ্টির কারণে কমপক্ষে ৮৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৮২ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি সামনে এনেছে দেশের National Disaster Management Authority। তারা জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন অংশে ভারী বৃষ্টিপাত এখনও অব্যাহত রয়েছে। গত শুক্রবার NMDA জানিয়েছে যে তুমুল বৃষ্টির ফলে সারা দেশে ২,৭১৫ টি বাড়ি আংশিক বা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি, সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে যে, বেশিরভাগ মৃত্যু ধ্বস, বজ্রপাত এবং বন্যার কারণে ঘটেছে।
সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর: এদিকে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ সাম্প্রতিক ভারি বর্ষণের কারণে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতিতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে ও বৃষ্টির কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলি দ্রুত চালু করার দিকে নজর দিয়েছেন। এর আগে গত শুক্রবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসের রিপোর্টে NMDA জানিয়েছিল যে, চলমান বৃষ্টিপাত ২২ এপ্রিল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে এবং এই অপ্রত্যাশিত বৃষ্টি দেশের একাধিক অঞ্চলে আকস্মিক বন্যার কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: T20 বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে ঝড় তুলবেন এই দুই খেলোয়াড়! IPL-এই মিলছে হাতেনাতে প্রমাণ
সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখোয়ায়: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। সেখানে প্রবল বৃষ্টির কারণে ৩৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৫৩ জন আহত হয়েছেন। এদিকে, পূর্ব পাঞ্জাব প্রদেশে ২৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: যাত্রীদের জন্য সুখবর! এই গ্রীষ্মে ৪৩ শতাংশ বেশি ট্রেন চালাবে রেল, গন্তব্যে পৌঁছবেন নিশ্চিন্তে
পাশাপাশি, NDMA জানিয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম বেলুচিস্তান প্রদেশে মোট ১৫ জন মারা গেছেন এবং ১০ জন আহত হয়েছেন। এদিকে, পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ১১ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ১১ জন আহত হয়েছেন।