বাংলা হান্ট ডেস্ক: মেসি ঝড় শহর কলকাতায়। শুক্রবার মধ্যরাতে কলকাতায় পা রেখেছেন লিওনেও মেসি (Leonel Messi)। স্বাভাবিকভাবে উন্মাদনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে যুবভারতীয় ক্রীড়াঙ্গন ও তার আশেপাশের এলাকা। এছাড়াও প্রত্যাশিত বিপুল ভিড় সামাল দিতে আগাম সতর্ক ছিল কলকাতা পুলিশ। এমনকি মেসি সংক্রান্ত অনুষ্ঠান ঘিরে বিশ্বভারতী ও সংলগ্ন এলাকায় বিশেষ ট্রাফিক বিধি নিষেধ জারি করা হয়েছিল। তবে শহর কলকাতায় মেসি আসার, রাতের ঘুমকে বিসর্জন দিয়ে গভীর রাতেই বিমানবন্দরে পথে পা বাড়িয়েছেন এক নব দম্পতি। তাদের একটি লক্ষ্য একবার লিওনেও মেসিকে এক ঝলক দেখা।
মেসিকে দেখার জন্য হানিমুন স্থগিত, রাতভর প্ল্যাকার্ড হাতে অপেক্ষা নবদম্পতির (Leonel Messi)
শনিবার মাঝরাত আড়াইটে নাগাদ কলকাতার পা রাখেন লিওনেও মেসি (Leonel Messi)। তারপর থেকেই শহর জুড়ে শুরু হয়ে যায় মেসি উন্মাদনা। তিন দিন এই গোটা ইন্ডিয়ার ট্যুরে প্রথম স্টপ ছিল কলকাতা। এরপর হায়দ্রাবাদ মুম্বাই ও দিল্লি হয়ে আবারও দেশে ফিরবেন আর্জেন্টিনার মহাতারকা। তাই শুক্রবার রাত থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে বাইরে শুরু করে ভীড়। সেখানে কারো হাতে ছিল আর্জেন্টিনার পথ পতাকা। আবার কারো গায়ে ছিল তার প্রিয় খেলোয়াড়ের জার্সি।

আরও পড়ুন: কলকাতায় কুয়াশার দাপট! কালিম্পংকে টপকে শীতের চ্যাম্পিয়ন কোচবিহার, আবহাওয়ার খবর
কেউ কেউ আবার মোবাইল ক্যামেরা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল একবার মেসিকে ফ্রেমবন্দি করার আশায়। রাত গড়িয়ে ভোর হলেও সেই উন্মাদনায় একটুও ভাটা পড়েনি। আর এই ভিড়ের মধ্যেই নজির কাড়ে এক তরুণীর হাতে ধরা প্ল্যাকার্ড। তাতেই লেখা ছিল গত ‘শুক্রবার বিয়ে করেছি, কিন্তু মেসিকে দেখার জন্য হানিমুন বাতিল’।
তার সেই প্ল্যাকার্ড মুহুর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়। এবং এ এন আই (ANI)সংস্থার খবর অনুযায়ী, ২০১০ সাল থেকেই তিনি মেসির ভক্ত। হাসিমুখে বলেন ২০১১ সালে মেসি কলকাতায় এসেছিলেন। তখন ছোট ছিলাম আমরা তাই আসতে পারিনি। তবে এবার আর ছাড়ার প্রশ্ন ওঠেই না। পাশাপাশি ওই নববিবাহিত তরুণীর স্বামী দাঁড়িয়ে ছিলেন। স্ত্রীর কথায় সম্মতি জানিয়ে তিনি জানান হানিমুন পরে হবে এখন শুধু মেসি। তাদের দুজনের কথায় এমন সুযোগ জীবনে বারবার আসবে না। তাই এই সুযোগ হাতছাড়া করা যায় না। উন্মাদনার ওই নব দম্পতির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল তা নয়। বিমানবন্দর চত্বরজুড়ে একই আবেগ ছিল মেসি ভক্তোদের।
যদিও কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে বিমানবন্দর থেকে মেসিকে (Leonel Messi) নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হোটেলে। তাই বিমানবন্দরে অপেক্ষারত অধিকাংশ সমর্থকরা মেসিকে চোখে দেখার সুযোগ পাননি। পাশাপাশি ব্যাক এন্ট্রি দিয়ে তাকে যত দ্রুত হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সকাল গড়ানোর সাথে সাথে যুবভারতীতে দর্শকদের ভিড় শুরু হয়। কিন্তু সেখানেও দেখা যায় বিশৃঙ্খলা। হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কাটার পর মেসিকে এক ঝলকও দেখতে না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছে সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি জনসাধারণের রাগ এতটাই বেড়ে যায় যে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের ভাঙচুর শুরু হয়। এছাড়াও সেখানে সৃষ্টি হয় এক বিশৃঙ্খলা।












