হাত দিলেই উঠে যাচ্ছে রাস্তার পিচ! ‘পথশ্রী’ প্রকল্পের এই ‘হতশ্রী’ দশা দেখে অবাক অনেকেই

বাংলাহান্ট ডেস্ক : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বারবার উল্লেখ করছেন পথশ্রী প্রকল্পের কথা। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রকল্পের এক হতাশাজনক চিত্র উঠে আসছে বাঁকুড়া (Bankura) থেকে। এই জেলায় পথশ্রী প্রকল্পের আওতায় তৈরি রাস্তার পিচ উঠে আসছে হাত দিয়ে টানলেই। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ তুলেছেন যে অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরি হয়েছে।

সেই অভিযোগে বাসিন্দারা রাস্তা তৈরির কাজও বন্ধ করে দিয়েছেন। পথশ্রী প্রকল্পের আওতায় রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে বাঁকুড়ার রায়পুর ব্লকের শ্যামসুন্দরপুর অঞ্চলের লেদরা মোড় থেকে রাইপুর ব্লক মহাবিদ্যালয় পর্যন্ত। তিন কিলোমিটার এই রাস্তা তৈরি করতে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে এই রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে।

আরোও পড়ুন : অনলাইনে খাবার অর্ডার এবার হবে আরও ব্যয়বহুল! চার্জ বাড়াল Zomato

স্থানীয়রা বলছেন, বর্তমানে যে পিচের রাস্তা তৈরি হচ্ছে, তার থেকে আগের মাটির রাস্তা অনেক ভালো ছিল। রাস্তার উপর দিয়ে গাড়ি গেলে পিচ উঠে আসছে। এখনই যদি এই অবস্থা হয় তাহলে ভবিষ্যতে কী হবে তা নিয়ে চিন্তিত এলাকাবাসী। এই অভিযোগ তুলে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখিয়ে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।

আরোও পড়ুন : প্রতি লিটার ৫ হাজার! দুর্দান্ত ‘সেল’ গাধার দুধের! কয়েক দিনেই লাখপতি গুজরাটের যুবক

এই ঘটনায় বিজেপির পক্ষ থেকে আক্রমণ করা হয়েছে তৃণমূলকে। পদ্মফুল শিবির বলছে, এখন তৃণমূল আর দুর্নীতি সদার্থক শব্দ। নিম্নমানের রাস্তা তৈরি করে টাকা ঢুকছে তৃণমূল নেতাদের পকেটে। এর জবাব আগামী দিনে মানুষ তাদের দেবে।নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে যে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে তা কার্যত মেনে নিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক।

Screenshot 2024 04 19 161653 1713523639816 1713523646125

তিনি বলছেন, এই রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঠিকাদার সংস্থা ঠিক মতো কাজ না করায় এই অবস্থা। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন এবং জেলাশাসককে। তবে ভোটের আগে এই ঘটনা যে ভোট ব্যাংকে প্রভাব ফেলবে তা বলাই বাহুল্য।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর