মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করায় পরিবারে চরম অশান্তি! বাবা–মাকে খুন করে দেহ টুকরো করে নদীতে ভাসানোর অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে

Published on:

Published on:

Uttar Pradesh dispute over marriage son arrested on charges of murdering his parents
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্ক: পাঁচদিন ধরে নিখোঁজ। প্রৌঢ় দম্পত্তির খোঁজে হন্যি হয়ে পড়েছিল পুলিশ। যেন উধাও হয়ে গিয়েছে তাঁরা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh)। প্রতিদিনই থানায় এসে খোঁজ নিয়ে যাচ্ছে তাঁদের মেয়ে। ফিরছে নিরাশ মুখে। বাবা-মা কোথাও গেল, তা সেও বুঝতে পারছে না। এর মাঝেই ঐ বৃদ্ধার ছেলের তলব করেন পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরই উঠে আসে ভয়াবহ তথ্য।

বিয়ে নিয়ে বিবাদ—মা–বাবা খুনের অভিযোগে ছেলে গ্রেফতার (Uttar Pradesh)

উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই প্রকাশ্য়ে ভয়াবহ তথ্য। জানা যায় ছেলের হাতেই খুন হয়েছে বাবা-মা। শুধু খুন করেই ছাড়েনি সে। প্রমাণলোপাটে দেহ কেটে নদীতে ফেলে দিয়েছিলেন অভিযুক্ত। এই ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

Uttar Pradesh dispute over marriage son arrested on charges of murdering his parents

আরও পড়ুন: দামি ক্রিম নয়, এই ঘরোয়া টোটকায় শীতেও পা থাকবে নরম…

সূত্রের খবর, বেশ কয়েকদিন ধরে বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও খোঁজ পায় না সে। অবশেষে গত ১৩ ডিসেম্বর থানায় দ্বারস্থ হয়। থানায় অভিযোগ জানানোর পর খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পুলিশ। এরপর তদন্তে নেমে ওই প্রৌঢ় দম্পত্তির এক পুত্র সন্তানের হদিশ পান তদন্তকারীরা। নাম অম্বেশ।

করোনার সময় থেকে বাবা-মায়ের থেকে বিচ্ছিন্ন সে। কলকাতায় এক মুসলিম মহিলাকে বিয়ে করায় অখুশি অম্বেশের পরিবার। ধর্মের বেড়াজাল টপাকানো সন্তানকে মেনে নিতে পারেননি ওই প্রৌঢ় দম্পত্তি। আচমকাই কলকাতা ছেড়ে উত্তর প্রদেশের বাড়িতে যান অম্বেশ। কী কারণে সে চলে এসেছিল তা জানা যায়নি। তবে সাংসারিক জীবন নিয়ে বেশ ক্লান্ত ছিল অম্বেশ বলে যানা যায়।

গত ৮ই ডিসেম্বর ফের একবার মা ববিতা এবং বাবা শ্যাম বাহাদুরের সঙ্গে বিবাদ হয় তাঁর। পারদ এতটাই তুঙ্গে উঠে যায় যে বচসা পরিণত হয় হাতাহাতিতে। নিজের মায়ের উপর চড়াও হন অম্বেশ। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে,লোহার রড দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করে সে। পাশাপাশি বাবাকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলা হয়। আর এরপর প্রমাণ লোফার টার জন্য প্রথমে বাবা-মায়ের দেহটিকে ব্যাগের তিন টুকরো করেন অভিযুক্ত ছেলে। এরপর দেহটিকে ছটি সিমেন্টের ব্যাগে ভরে সেগুলোকে নিজের গাড়িতে চাপিয়ে নদীতে ফেলে দেয় অভিযুক্ত। অভিযুক্ত ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরেই এই তথ্যগুলো পুলিশের কাছে এসেছে। তথ্যের উপর ভিত্তি করে সে অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেফতার করেন উত্তর প্রদেশ পুলিশ (Uttar Pradesh)।