বাংলা হান্ট ডেস্ক: কথাতেই আছে মাছে ভাতে বাঙালি। কারণ ভাতের সঙ্গে এক টুকরো মাছ পেলে পরে হাসি মুখে একথালা ভাত খেয়ে নেন বহু ভোজনরসিক বাঙালি। এমনকি দুবেলা পাতে মাছ (Fish) থাকলে তো আর কোন কথাই নেই। তবে সূর্যাস্তের পর বিশেষজ্ঞরা মাছ খেতে বারণ করেন। কেন বারণ করেন এই বিষয়ে জানলে আপনিও আপনার ডায়েট থেকে রাতের বেলায় মাছ বাতিল করবেন।
সূর্য ডোবার পর মাছ খাওয়া কেন অনুচিত, জানালেন বিশেষজ্ঞরা (Fish)
বিশেষজ্ঞদের মতে অনেক মাছের মধ্যে চর্বির পরিমাণ বেশি থাকে। এছাড়াও মাছের উৎস, চর্বির পরিমাণ ও আঁশ অনুযায়ী মাছকে নানান ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন মিষ্টি জলের মাছে অর্থাৎ রুই, কাতলা, কই, পুঁটি মাছে বেশি পরিমাণে চর্বি থাকে। তবে কম চর্বি যুক্ত মাছের মধ্যে রয়েছে মাগুর, টাকি, শিং। বেশি চর্বিযুক্ত মাছের মধ্যে পাঙাশ, চিতল, ভেটকি, ইলিশ (Fish)।

আরও পড়ুন: শনিবার কল্যাণী–লালগোলা রুটে বাড়তি ট্রেন দিচ্ছে রেল
প্রাচীনকালেও রাতে মাছ খাওয়ায় নিষেধ ছিল। সেটা অবশ্য মানুষে কুসংস্কারের মতো পালন করত! যদিও এই প্রথার নেপথ্যে ছিল বৈজ্ঞানিক কারণ! তা হল, সেই সময় তো বৈদ্যুতিক আলো ছিল না। তাই লন্ঠনের টিমটিমে আলোয় রাতে মাছের কাঁটা ভালভাবে বাছা যেত না। তাই বাড়ির বড়-বুড়োরা বলতেন, সূর্য ডোবার পর মাছ না খেতে।
তবে মাছ হাইপ্রোটিন যুক্ত হলেও এটি হজম হতে সময় লাগে। রাত্রেবেলা মাছ খেতে না বলেন। আবার অনেক সময় খাবার হজম না হলে শারীরিক কষ্ট হয়। যার ফলে রাত্রেবেলা মাছ না খাওয়াই উচিত বলে পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ টা আরও জানান, রাত্রেবেলা নিরামিষ খাওয়া ভালো। কারণ এটি সহজপাচ্য হয়। সহজে হজম হয়। এরফলে শারীরিক কোনো অসুবিধা হয় না (Fish)।












