বাংলাহান্ট ডেস্ক: দৃঢ় বিশ্বাস এবং কঠোর পরিশ্রমের সাহায্যে কিভাবে সফলতার (Success Story) অর্জন করতে হয় তাঁর উদাহরণ গড়লেন হায়দ্রাবাদের তেজস মুন্ধ্রা। ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অফ ইন্ডিয়া (ICAI) সিএ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে। এ বছরের ফলাফলে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছেন হায়দ্রাবাদের তেজস মুন্ধ্রা। মোট ৬০০ নম্বরের মধ্যে ৪৯২ নম্বর পেয়ে তিনি ৮২ শতাংশ নম্বরসহ অল ইন্ডিয়া র্যাঙ্ক (AIR) ২ অর্জন করেছেন। এই ফলাফলে দেশজুড়ে সিএ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন করে উদ্দীপনা তৈরি হয়। ICAI সূত্রে জানানো হয়েছে, এ বছর মোট ১১,৪৬৬ জন পরীক্ষার্থী চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে সফলভাবে যোগ্যতা অর্জন করেছেন।
তেজস মুন্ধ্রার অসাধারণ সাফল্যের কাহিনি (Success Story):
হায়দ্রাবাদে জন্মগ্রহণ ও বেড়ে ওঠা তেজস মুন্ধ্রা একটি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট পরিবার থেকেই এসেছেন। তাঁর বাবা এবং ভাই দু’জনেই সিএ হওয়ায় এই পেশা বেছে নেওয়াটা তাঁর কাছে প্রায় স্বাভাবিক সিদ্ধান্তই ছিল। ফিনান্সের প্রতি ছোটবেলা থেকেই আগ্রহী তেজস বলেন, সিএ পড়াশোনা তাঁকে আর্থিক জগতের গভীর ও বিস্তৃত ধারণা দিয়েছে। তাঁর মতে, ফিনান্স বোঝার জন্য সিএ অন্যতম সেরা পেশাগত পথ, আর সেটাই তাঁকে এই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করেছে (Success Story)।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশে আতঙ্কে হিন্দুরা! যেকোনও মুহূর্তে হামলার আশঙ্কা, আকাশপথে কলকাতা রুটে কমল যাত্রী সংখ্যা
তেজস ২০২১ সালে সিএ ফাউন্ডেশন পরীক্ষা দেন এবং তারপর থেকে প্রতিটি স্তরেই প্রথম প্রচেষ্টায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। চলতি বছর তিনি ইন্টারমিডিয়েট স্তরের পরীক্ষাতেও সফল হন। ইংরেজি সংবাদপত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, AIR ২ অর্জন করা তাঁর কাছে স্বপ্ন পূরণের মতো। ফলাফল দেখার মুহূর্তে তিনি বিশ্বাসই করতে পারেননি যে এত উচ্চ র্যাঙ্ক তিনি পেয়েছেন। তাঁর কথায়, সেই অনুভূতি ছিল অবর্ণনীয় এবং অত্যন্ত আবেগঘন (Success Story)।
সিএ ফাইনাল গ্রুপ পরীক্ষার প্রস্তুতির সময় তেজসের দৈনন্দিন রুটিন ছিল কঠোর ও সুশৃঙ্খল। নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি তিনি প্রতিদিন প্রায় ১২ ঘণ্টা পড়াশোনা করতেন। সপ্তাহে ছয় দিন পড়াশোনা করে রবিবার বন্ধুদের সঙ্গে ৫ কিলোমিটার দৌড়ানো ছিল তাঁর মানসিক স্বস্তির অন্যতম মাধ্যম। কোচিং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শুরুতে কোচিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও ইন্টারমিডিয়েটের পর তিনি নিজে থেকেই পড়াশোনা চালিয়ে যান। তাঁর মতে, কী পড়তে হবে এবং কীভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে, তা বুঝে নেওয়াই সাফল্যের চাবিকাঠি (Success Story)।

প্রস্তুতির সময় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল আর্টিকেলশিপের সঙ্গে পড়াশোনার ভারসাম্য বজায় রাখা। দিনের বেলায় অফিসের কাজ ও ব্যবহারিক অভিজ্ঞতার পাশাপাশি পরীক্ষার প্রস্তুতি চালিয়ে যাওয়া সহজ ছিল না বলে তিনি জানান। তবু তিনি কখনও পুরোপুরি সোশ্যাল মিডিয়া বা ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এড়িয়ে যাননি, বরং পড়াশোনা ও বিশ্রামের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার উপর জোর দিয়েছেন। তাঁর কাছে সিএ ছিল ‘Do or Die’ পরিস্থিতি, কোনও ব্যাকআপ পরিকল্পনা ছিল না। ফলাফল প্রকাশের পর এখন তিনি ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থানের বিকল্পগুলি বিবেচনা করছেন এবং আশা করছেন ২০২৫ সালের ডিসেম্বরেই ICAI প্লেসমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু করবে। এ বছরের পরীক্ষায় ধমনোদের মুকুন্দ আগিওয়াল ৫০০ নম্বর (৮৩.৩৩ শতাংশ) পেয়ে সর্বভারতীয় স্তরে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন (Success Story)।












