বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চল তথা ‘সেভেন সিস্টার্স’ দখলের হুমকি ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল ভারত–বাংলাদেশ (India-Bangladesh) সম্পর্কের পরিসরে। ওপার বাংলা থেকে ক্রমাগত উসকানিমূলক মন্তব্য আসার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই ভারত সরকার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে। এবার সেই প্রতিবাদের রাস্তায় নামল সাধারণ মানুষও। বাংলাদেশের এক নেতার বিতর্কিত মন্তব্যের বিরুদ্ধে ত্রিপুরায় বিক্ষোভ দেখাল একটি রাজনৈতিক দলের যুব শাখা। আগরতলায় বাংলাদেশের অ্যাসিস্ট্যান্ট হাই কমিশনারের অফিসের সামনে এই বিক্ষোভকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়।
সেভেন সিস্টার্স কেড়ে নেওয়ার হুমকি বাংলাদেশের নেতার (India-Bangladesh):
উত্তর–পূর্ব ভারতকে আলাদা করার হুমকি দেওয়া এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর মন্তব্যকে অপমানজনক ও বিভেদ সৃষ্টিকারী বলে আখ্যা দিয়েছে ত্রিপুরা ইয়ুথ ফেডারেশন। এই সংগঠনটি তিপরা মোথা দলের যুব শাখা। শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, আগরতলায় বাংলাদেশের অ্যাসিস্ট্যান্ট হাই কমিশনারের দপ্তরের সামনে জড়ো হয়ে তারা ওই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানায়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, এই ধরনের বক্তব্য শুধু ভারতের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত নয়, দুই দেশের সম্পর্ককেও বিষিয়ে তুলছে।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশে আতঙ্কে হিন্দুরা! যেকোনও মুহূর্তে হামলার আশঙ্কা, আকাশপথে কলকাতা রুটে কমল যাত্রী সংখ্যা
ভারতের জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে ত্রিপুরা ইয়ুথ ফেডারেশনের সদস্যরা বাংলাদেশি নেতাদের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন। বিক্ষোভকারীরা এমন ভারত-বিরোধী মন্তব্যের জেরে কড়া কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান। তাঁদের বক্তব্য, এই ধরনের হুমকি বা মন্তব্য কোনও ভাবেই সহ্য করা যায় না এবং বিষয়টি হালকা ভাবে নেওয়া হলে ভবিষ্যতে আরও বড় সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী।
ত্রিপুরা ইয়ুথ ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট সূরজ দেববর্মা বিক্ষোভস্থলে বলেন, “ভারত সরকার এবং আমাদের সেনাবাহিনীর কারণেই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল। সেই দেশ থেকেই আজ আমাদের বিরুদ্ধে শত্রুতামূলক মন্তব্য আসছে, যা আমাদের সার্বভৌমত্বকে সরাসরি অপমান করে। এই আচরণ কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।” তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট ক্ষোভ ও হতাশার সুর ধরা পড়ে, যা বিক্ষোভকারীদের মনোভাবকেও প্রতিফলিত করে।

আরও পড়ুন:তেল ছাড়া এভাবে ভাজুন লাল ও মুচমচে বেগুন ভাজা, সহজ ট্রিক জেনে নিন
এই ইস্যুতে উত্তর–পূর্ব ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বাংলাদেশের নেতার মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য যদি বন্ধ না হয়, তবে আমরাও চুপ করে বসে থাকব না।” তাঁর এই বক্তব্যে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, ভারতের ভূখণ্ড ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে কোনও রকম আপসের প্রশ্নই ওঠে না। সব মিলিয়ে, বিতর্কিত মন্তব্যকে কেন্দ্র করে দুই দেশের কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক মহলে বাড়ছে উত্তেজনা।












