লক্ষাধিক টাকার ডিল করে খুনের ছক? শাহজাহান মামলার সাক্ষী কাণ্ডে ট্রাক চালক গ্রেপ্তার

Updated on:

Updated on:

Sandeshkhali Incident Main accused Alim Molla arrested in witness attack case
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্দেশখালিতে শাহজাহান শেখের মামলার (Sandeshkhali Incident) অন্যতম সাক্ষীর উপর হামলার ঘটনায় বড় সাফল্য পেল পুলিশ। সাক্ষ্য দিতে যাওয়ার পথে গাড়িতে ধাক্কা মারার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আলিম মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনায় ভোলার গাড়ির চালক এবং ভোলার পুত্রের মৃত্যু হয়েছিল।

সোমবার আলিম মোল্লাকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হচ্ছে

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার আলিম মোল্লাকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হচ্ছে। অভিযোগ, লক্ষাধিক টাকা নিয়ে ১৬ চাকার ট্রাক চালিয়ে পরিকল্পিত ভাবে ভোলার গাড়িতে ধাক্কা দেন তিনি। ঘটনাটি ঘটে গত ১০ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ। সন্দেশখালির ন্যাজাট থানার রাজবাড়ি আউট পোস্ট এলাকার বয়ারমারি এলাকায়, বাসন্তী রোডে ভোলার গাড়িতে সজোরে ধাক্কা মারে ট্রাকটি। ভোলার অভিযোগ, তিনি শাহজাহান শেখ মামলার অন্যতম সাক্ষী হওয়ায় তাঁকে খুন করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল (Sandeshkhali Incident)।

আলিমের গ্রেপ্তারির পর ভোলা ঘোষ বলেন, “আমার পুলিশের প্রতি আস্থা ছিল। আমি ধন্যবাদ জানাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পুলিশ প্রশাসনকে। আশা করি, এর সঙ্গে আরও যাঁরা জড়িত, তাঁরাও খুব তাড়াতাড়ি ধরা পড়বেন।” এই ঘটনায় এর আগে চার জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তাঁদের মধ্যে তিন জনের নাম এফআইআরে ছিল না। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ওই তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে নজরুল মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়, যাঁর নাম এফআইআরে ছিল।

Sandeshkhali Incident Main accused Alim Molla arrested in witness attack case

আরও পড়ুনঃ সরকারি টাকায় মন্দির? দিঘা জগন্নাথ মন্দির প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মোহন ভাগবত, বললেন…

ভোলার অভিযোগ, ধাক্কা মারার পর ঘাতক ট্রাকের চালককে বাইকে করে পালাতে সাহায্য করেছিলেন নজরুল মোল্লা। চার ধৃতকে জেরা করেই তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র পায় পুলিশ। রবিবার গভীর রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি গোপন ডেরা থেকে আলিম মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভোলার দাবি, ঘটনার সময় তিনি নিজ চোখে আলিমকে দেখেছিলেন এবং সেই কথাই আগেই থানায় অভিযোগ করে জানিয়েছিলেন। সন্দেশখালি ঘটনায় (Sandeshkhali Incident) মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হওয়ায় তদন্তে বড় অগ্রগতি বলেই মনে করছে পুলিশ প্রশাসন।