উত্তেজনার আবহেই বাংলাদেশকে কড়া জবাব! আসাম সীমান্ত থেকে ফেরত পাঠানো হল ১৯ জন অনুপ্রবেশকারীকে

Published on:

Published on:

Assam govt gave strong message on infiltration at the India-Bangladesh border.
Follow

বাংলাহান্ট ডেস্ক: ছাত্রনেতা শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গোটা বাংলাদেশ জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বাংলাদেশের (India-Bangladesh) এই বর্তমান অস্থিরতার আঁচ ছড়িয়েছে কিছুটা ভারতেও। এই উত্তেজনার আবহেই বড় পদক্ষেপ নিল ভারত। অসম সীমান্ত থেকে ১৯ জন অনুপ্রবেশকারীকে বাংলাদেশের ফেরত পাঠালো হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সরকার। বিভিন্ন শহর ও জেলায় মানুষ রাস্তায় নেমে স্লোগান দিচ্ছেন, হাদির হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে। একের পর এক বিক্ষোভ, অবরোধ ও প্রতিবাদ কর্মসূচির জেরে স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে। প্রশাসনের দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, তবে ক্ষোভ ও অনিশ্চয়তা এখনও কাটেনি।

বাংলাদেশ উত্তেজনার আবহে বড় পদক্ষেপ ভারতের (India-Bangladesh):

এই অস্থিরতার মধ্যেই সামনে এসেছে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার একটি মর্মান্তিক ঘটনা। ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে এক হিন্দু যুবক দীপু চন্দ্র দাসকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, অভিযোগ অনুযায়ী, হত্যার পর দীপুর দেহ গাছে বেঁধে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাটি ঘিরে দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবি, দীপু কোনও ধর্ম অবমাননাকর মন্তব্য করেননি, অথচ গুজবের ভিত্তিতেই এই নির্মম ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে মৌলবাদীদের বাড়বাড়ন্ত! অরাজকতার জন্য ইউনূসকে দায়ী করে গর্জে উঠলেন হাসিনা

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর ক্রমাগত হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। এই প্রেক্ষাপটে অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিল অসম সরকার। রবিবার অসম পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ যৌথ অভিযান চালিয়ে ১৯ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করে। নাগাঁও ও কার্বি আংলং জেলা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া এই ব্যক্তিদের পরে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল এক্স-এ আটক অভিবাসীদের ছবি শেয়ার করেন।

মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই অভিযানকে অনুপ্রবেশকারীদের জন্য “সম্পূর্ণ ধ্বংসের মুহূর্ত” বলে উল্লেখ করেন। এক্স-এ দেওয়া পোস্টে তিনি লেখেন, এই ব্যক্তিরা ভারত থেকে নিখোঁজ হয়ে গেছে এবং নিজেদের “নরকে” ফিরে গেছে। তিনি আরও স্পষ্ট করেন, “বার্তাটি পরিষ্কার—অসমে অবৈধভাবে থাকার অর্থ নিশ্চিত ধ্বংস।” তাঁর এই মন্তব্য অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের কঠোর মনোভাবকেই তুলে ধরে।

Assam govt gave strong message on infiltration at the India-Bangladesh border.

আরও পড়ুন:মারকাটারি শীত! দক্ষিণবঙ্গে আগামীকাল থেকে নতুন ‘খেলা’ খেলবে আবহাওয়া, বড় আপডেট হাওয়া অফিসের

অভিযানের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের মতে, এটি অসমের জনসংখ্যার ভারসাম্য ও রাজ্যের নিরাপত্তা রক্ষার লক্ষ্যে চালানো বৃহত্তর অভিযানের অংশ। সরকার স্পষ্ট বার্তা দিতে চায় যে, যারা অবৈধভাবে আসামকে আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নেবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে দীপু চন্দ্র দাসের হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে ভারত ঢাকার কাছে জোরালো আবেদনও জানিয়েছে।