বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। একদিকে মিম-এর শক্তি বৃদ্ধি, অন্যদিকে তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়া বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের (Humayun Kabir) নতুন দল ঘোষণা, এই দুই ঘটনার জেরে জেলার ২২টি বিধানসভা আসন ঘিরে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা।
নিজের নতুন দল ঘোষণা করলেন হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)
সোমবার মুর্শিদাবাদে ‘জনতা উন্নয়ন পার্টি’ নামে নিজের নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করেন হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। দল ঘোষণার মঞ্চ থেকেই তিনি জানান, জেলার বেশ কয়েকটি আসনে ইতিমধ্যেই প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট করে দেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদের সবকটি আসনেই তাঁর দল প্রার্থী দেবে।
মঞ্চ থেকে হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir) সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। তিনি বলেন, এবার ভোটে মুর্শিদাবাদে তৃণমূলকে খাতা খুলতে দেবেন না। তিনি বলেন, “আমি বেঁচে থাকলে তৃণমূলকে জিরো করব।”
একই সঙ্গে বিজেপি নিয়েও মন্তব্য করেন হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। তিনি বলেন, বিজেপি হয়তো ২-১টি আসন বাড়াতে পারে। বিজেপির কাছে কৌশল এবং অর্থবল রয়েছে বলেই তাদের আসন সংখ্যা কিছুটা বাড়তে পারে বলে তাঁর দাবি। তবে তৃণমূলকে পুরোপুরি শূন্যে নামানোই তাঁর লক্ষ্য বলে জানান তিনি। প্রসঙ্গত, এদিন নতুন দল ঘোষণার সভায় হুমায়ুন কবীরের (Humayun Kabir) প্রচুর সমর্থক হাজির ছিলেন। মঞ্চের সামনে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সেই ভিড়ের মধ্যেই তিনি মুর্শিদাবাদের সবকটি আসনে লড়াইয়ের বার্তা দেন।
উল্লেখ্য, হুমায়ুন কবীর নতুন দল গঠনের কথা জানানোর পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। কেউ বা কোনও দল তাঁকে আড়াল থেকে সমর্থন করছে কি না, তা নিয়েও আলোচনা চলছে।

আরও পড়ুনঃ অস্বস্তিতে তৃণমূল! বিধানসভা ভোটের আগে খোদ মন্ত্রীর গড়ে ধাক্কা, শক্তি বাড়াচ্ছে মিম
এ বিষয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র তন্ময় ঘোষ বলেন, “দল গড়তেই পারেন। নির্বাচনে এর প্রভাব কতটা হবে, তা ফলাফলেই বোঝা যাবে। কেউ বা কারা পিছন থেকে ভোট ভাগ করার চেষ্টা করছে। মানুষের বোঝা উচিত, এদের ভোট দিলে বিজেপিরই লাভ হবে। তৃণমূল মানুষের সঙ্গেই রয়েছে। হুমায়ুন কী করবে, তাতে কোনও প্রভাব পড়বে না।” সব মিলিয়ে, ভোটের আগে মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি হয়েছে। মিম-এর উত্থান, হুমায়ুন কবীরের (Humayun Kabir) নতুন দল এবং প্রধান রাজনৈতিক দলগুলির অবস্থান, এই সবকিছু মিলিয়ে জেলার ২২টি বিধানসভা আসনকে ঘিরে কৌতূহল বাড়ছে।












