বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্যে এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়ায় এনুমারেশন পর্ব সমাপ্ত। প্রকাশিত হয়েছে খসড়া ভোটার তালিকাও। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের আগেই চলছে স্ক্রুটিনি। তথ্য নিয়ে সন্দেহ হলেই ডাক পড়বে শুনানিতে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে একটুও ছাড় দিতে চায় না কমিশন। ইতিমধ্যেই নাকি রাজ্যজুড়ে প্রায় ৩২ লক্ষ ভোটারের কাছে শুনানির জন্য নোটিস পাঠানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে।
এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়ায় শুরু হয়েছে নোটিশ পাঠানোর কাজ
প্রথমে ঠিক হয়েছিল ১৭ ডিসেম্বর থেকে পাঠানো হবে নোটিশ। কিন্তু কিছু প্রশাসনিক কাজে তা পিছিয়ে যায়। শনিবার থেকে শুরু হয়েছে নোটিশ পাঠানোর কাজ। আর আগামী ২৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে মেগা হিয়ারিং। সিইও দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, যাচাইকরণ প্রক্রিয়ায় খুবই কড়াকড়ি করা হবে, যাতে কোনও ভুয়ো ভোটারের নাম যেন তালিকায় থেকে না যায়, আবার কোনও প্রকৃত নাগরিকের নাম বাদ না যায়।

নিয়োগ হবে মাইক্রো অবজার্ভার: ভোটার তালিকায় যাতে স্বচ্ছতা বজায় থাকে তার জন্য বড়সড় পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। শুরু হতে চলা শুনানির প্রক্রিয়ায় নজরদারি চালানোর জন্য প্রায় ৩৫০০ মাইক্রো অবজার্ভার নিয়োগ করা হচ্ছে। মূলত রেল, ব্যাঙ্ক, ডিভিসি, কোল ইন্ডিয়ার মতো সংস্থা থেকে এই উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের বেছে নেওয়া হয়েছে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর নজরুল মঞ্চে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এই মাইক্রো অবজার্ভারদের।
আরও পড়ুন : বাংলায় কুবেরের ধন! ৯ টি জায়গায় মিলল সোনার সন্ধান, ভোল বদলে যেতে চলেছে এই জেলার
কাদের কাছে যাবে নোটিশ: জানা যাচ্ছে, প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে গড়ে ১১ জন করে পর্যবেক্ষক থাকবে। ইআরও এবং এইআরওদের কাজের উপরে নজর রাখা, প্রতিদিনের শুনানির (SIR) রিপোর্ট তৈরি করাই হবে তাদের কাজ। উল্লেখ্য, খসড়া তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও নোটিশ যেতে পারে। কাদের পাঠানো হচ্ছে নোটিশ? কমিশন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ভোটার ফর্মে দেওয়া তথ্যে যদি কোনও ভুলভ্রান্তি থাকে, লিঙ্গ সংক্রান্ত তথ্যে সন্দেহ থাকলে, ২০০২ এর তালিকার সঙ্গে বর্তমান তথ্যের মিল না পাওয়া গেলে ডাক পড়বে শুনানির জন্য।
আরও পড়ুন: টেলিপাড়া তোলপাড়, তিন মাসেই পরপর বন্ধ দুই মেগা! মাথায় হাত দর্শকদের
যারা শুনানির জন্য ডাক পাচ্ছেন, তাদের জন্য কমিশনের উল্লিখিত ১৩ টি নথির যে কোনো একটি নিয়ে নির্দিষ্ট দিনে উপস্থিত থাকতে হবে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, শুনানির দিন উপস্থিত না থাকতে পারার ক্ষেত্রে যদি বিশ্বাসযোগ্য কারণ দেখাতে পারে ভোটার তবে শুনানির জন্য অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে। বয়স্কদের ক্ষেত্রে বাড়িতে গিয়ে শুনানির প্রস্তাবও দিয়েছে কমিশন।












