হোয়াটসঅ্যাপে অদৃশ্য স্ক্যাম, জানার আগেই হ্যাক হচ্ছে অ্যাকাউন্ট…

Published on:

Published on:

WhatsApp an invisible danger on how ghost-pairing is spreading
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সমাজমাধ্যমের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ হল হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)। বর্তমান দিনে সমাজ মাধ্যম প্রত্যেকের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। কারণ সমাজ মাধ্যমের সাহায্যে নানান ধরনের কাজ করা হয়। কারণ এই অ্যাপের মাধ্যমে অফিশিয়াল নানান রকম কাজকর্ম করা হয় বর্তমানে। তবে হোয়াটসঅ্যাপে হ্যাকারদের ফাঁদ পাতার বিষয়টি নতুন নয়। কিন্তু এই মুহূর্তে হ্যাকাররা আপনার অগোচরে আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাকারদের নিয়ন্ত্রণে করে নিচ্ছে। যা আপনি টের পাচ্ছেন না। কাজে সাবধান থাকাটা বর্তমানে খুবই জরুরী।

হোয়াট্‌সঅ্যাপে অদৃশ্য বিপদ!ঘোস্ট-পেয়ারিং কীভাবে ছড়াচ্ছে (WhatsApp)

সাইবার অপরাধ নতুন কোন বিষয় নয়। তবে এই অপরাধ বিপদজনক হয়ে ওঠে অনেক সময়। কারণ এই সাইবার হ্যাক এর মাধ্যমে আপনার হাতে থাকা ফোনটি সকল তথ্যই চলে যায় অপরাধীর চোরা গোপ্তার পথে। যেখানে আপনি নিজেও জানতে পারবেন না কখন আপনার সমস্ত ডেটা নিয়ে নিয়েছে এই সাইবার হ্যাকাররা। এছাড়াও বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) এর মাধ্যমেও এই ধরনের হ্যাক করা হচ্ছে। যেখানে আপনার ফোনে হাত না দিয়েও অপরাধী আপনার অ্যাকাউন্টের প্রতিলিপি তৈরি করে ফেলবে।

WhatsApp an invisible danger on how ghost-pairing is spreading

আরও পড়ুন: চেনা পাহাড় ছেড়ে নতুন পথে, কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শনের নতুন ঠিকানা পোখারিধুরা

শুধু তাই নয়, আপনার ফোনটা সম্পূর্ণ কবজা করে ফেলবে। পাশাপাশি আপনি জানতে পারবেন না কোন কিছুই। কিন্তু আপনার অজান্তেই অপরাধমূলক কাজ করবেন হ্যাকাররা। সমস্ত চ্যাট করবে সেই হ্যাকাররা। পাশাপাশি কন্টাক্ট লিস্ট এ থাকা নম্বর হাতিয়ে নেবে। এমনকি অন্যের প্রোফাইল ও দখল করে নেবে।

হোয়াট্‌সঅ্যাপের লিঙ্ক ডিভাইস ফিচারস এর অপব্যবহার করে, এই জালিয়াতি চালাচ্ছে হ্যাকাররা। সাধারণত কম্পিউটার বা ল্যাপটপ এ হোয়াট্‌সঅ্যাপ খোলার জন্য কিউআর কোড স্ক্যান করা হয়। আর হ্যাকাররা সেই কৌশলে কোড খোলার অনুমতি হাতিয়ে নেবে আপনার কাছ থেকে। অর্থাৎ নিজের ডিভাইসের সঙ্গে আপনার ডিভাইসটি পেয়ারিং ঘটাবে। যেটাকে বলা হচ্ছে ‘ঘোস্টপেয়ারিং’।

প্রথমে আপনার খুব পরিচিত কারো নম্বর থেকে ছবি পাঠানো হবে। এরপর আপনার কোন ছবি বা আপনার ফেসবুক বা অন্য প্রোফাইলে থাকা ছবির লিংক সহ পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এরপর সেই নম্বর থেকে জানানো হবে যে ছবিটি পাওয়া গিয়েছে। সেটে খুলে কোড ভেরিফাই করলে আপনার ছবিটির বিষয়ে আরও বিশদে জানতে পারবেন। কৌতুহল বসত চেনার নম্বর থেকে বিশ্বাস করে সেই লিংকটি খুললে একটি ভুয়া ওয়েব পেজ খুলে যাবে। যেখানে ভেরিফিকেশন কোড চাওয়া হবে। আর সেখানে আপনার ব্যক্তিগত ফোন নম্বর অথবা ইমেল আইডি জানাতে বলা হবে। এবার সেই তথ্যটি লিখতে কোড পাঠানো হবে আপনাকে। সেই কোডটি ওয়েব পেজে লিখতে বলা হবে। সেটি করার সঙ্গে সঙ্গে আপনার ডিভাইসের নাগাল পেয়ে যাবে সাইবার হ্যাকাররা। এরপরই আপনার অ্যাকাউন্টের প্রতিলিপি বানিয়ে ফেলে তা ব্যবহার শুরু করবে অপরাধীরা।

কীভাবে বাঁচবেন?

এর জন্য একাধিক ডিভাইসে হোয়াট্‌সঅ্যাপ (WhatsApp) খুলে রাখবেন না। ব্যবহার করার পর প্রতিটি ডিভাইস থেকে অ্যাকাউন্ট লগ আউট করবেন। এছাড়া কম্পিউটার খোলা হোয়াটসঅ্যাপ পেজটি ডান দিক থেকে একেবারে কোনে তিনটি ডট থাকে। সেখানে ক্লিক করে, সেটিংস মেনুতে যান। এরপর সেখান থেকে প্রাইভেসিতে গিয়ে স্ক্রিন লক অপশনটিতে ক্লিক করুন। তারপর স্ক্রিনে একটি মেসেজ বক্স ফুটে উঠবে। সেইখানে ক্লিক করে পছন্দ মতো পাসওয়ার্ড দিন। এইভাবে স্ক্রিন লক আপনি করতে পারবেন। এছাড়াও আপনার ফোনে যেভাবে প্যাটার্ন বা ফিঙ্গার লক করতে পারেন একইভাবে, হোয়াট্‌সঅ্যাপে (WhatsApp) ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেওয়া যায়। তবে হোয়াটসঅ্যাপে আসা কোন ছবির সঙ্গে লিংক থাকলে তা খুলবেন না অথবা শেয়ার করবেন না। এর থেকে ম্যালঅয়্যার ঢুকে যেতে পারে ডিভাইসে। একটিবার সেটি ঘটলে, হোয়াট্‌সঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট তো যাবে। পাশাপাশি অজান্তে আপনার ফোনটি অন্যের নজরদারিতে চলে যাবে।