এবার বাংলায়ও চালু হবে কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প? হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

Published on:

Published on:

calcutta high court(85)
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সর্বদাই সরব থাকে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার পাল্টা রাজ্যের সাধারণ গরিব মানুষ এবং অসংরক্ষিত ক্ষেত্রে কর্মরত মানুষকে সুস্বাস্থ্যের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ উঠল মমতার সরকারের বিরুদ্ধে। এই নিয়েই জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)।

মামলা গ্রহণ করেছে হাইকোর্ট | Calcutta High Court

আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প নিয়ে (Ayushman Bharat Scheme) হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। এই মামলা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা বলেন, “কেন্দ্রীয় প্রকল্প আয়ুষ্মান ভারত জনকল্যাণমূলক প্রকল্প৷ সেটিকে পশ্চিমবঙ্গে চালু করতে দেওয়া হচ্ছে না৷ এই প্রকল্প চালু হলে, প্রান্তিক মানুষ উপকৃত হবে৷”

শমীকের দাবি, এ রাজ্যের সরকার প্রান্তিক মানুষের বিরুদ্ধে কাজ করছে। এই প্রকল্প চলুতে বাধা দিচ্ছে। তাঁর কথায়, “এই সরকার অসংগঠিত ক্ষেত্র, শ্রমিক ও কৃষক বিরোধী সরকার ৷” শমীকবাবু আরও বলেন, “আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প দেশের সব রাজ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে৷ দিল্লির সরকার গ্রহণ করেনি ৷ এ নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা চলছে। দিল্লি হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ এই প্রকল্পকে গ্রহণ করার পক্ষেই৷ তাই এ রাজ্য নিয়ে আমরাও হাইকোর্টেও একটা মামলা করতে বাধ্য হলাম ৷”

শমীকবাবু আরও বলেন, “কিছু বিষয় সচিব স্তরে আলোচনার মধ্যে দিয়ে মিটিয়ে ফেলা উচিত৷ রাজনীতিতে কোনও সরকার একটি প্রকল্প চালু করলে তা বাস্তবায়িত করতে কিছু নিয়ম লাগু করা হয়৷ সেখানে আইন প্রণয়নের সঙ্গে, সরকারের ঘোষিত প্রকল্পের সঙ্গে এবং তা বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্টভাবে কিছু মানুষের ভূমিকা থাকে৷ কিন্তু, প্রথমেই যদি আপনি বাতিল করে দিচ্ছেন, ‘আমি করব না, দেব না’৷ তাহলে কিছু করার থাকে না ৷” উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই শমীকের মামলাটি হাইকোর্ট গ্রহণ করেছে। খুব শীঘ্রই এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।

Shamik Bhattacharjee

আরও পড়ুন: দায় কার? শতদ্রু বললেন পুলিশ, রাজ্য বলল কেন্দ্র, মেসি-কাণ্ডে তদন্ত নিয়ে রায় স্থগিত করল হাই কোর্ট

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে বলেন, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে বাংলার ব্যর্থতার কারণে দরিদ্র জনগণ ও পরিযায়ী শ্রমিকরা দেশজুড়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।