বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চলছে লোকসভা ভোট (Loksabha Election)। সাত দফা ভোটগ্রহণের পর আগামী ৪ জুন প্রকাশ হবে ফলাফল। এই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে গত ফেব্রুয়ারী মাসে লক্ষীর ভাণ্ডারের (Lakshmir Bhandar) ভাতা দ্বিগুন বৃদ্ধি করেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই বর্ধিত ভাতা মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও ঢুকেছে। তবে এরই মাঝে বিজেপি নেত্রীর দাবি, তিন মাস পর অর্থাৎ ভোট মিটলেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেবে রাজ্য সরকার। আর বিজেপি নেত্রীর এই ভবিষ্যদ্বাণী নিয়েই ক্রমাগত আক্রমণ শানাচ্ছেন মমতা থেকে শুরু করে অভিষেক (Abhishek Banerjee)।
বিগত কয়েকদিন ধরে বিজেপির বিরুদ্ধে এই লক্ষীর ভাণ্ডার নিয়ে করা ‘মিথ্যে’ দাবির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়ের সমর্থনে দুবরাজপুরের খয়রাশোল ব্লকে গোষ্ঠ ডাঙাল মাঠের নির্বাচনী সভায় ছিলেন অভিষেক। সেখান থেকেই এই নিয়ে বিজেপির এক নেত্রীর অডিও শুনিয়ে তিনি বলেন, “আপনারাই শুনুন, বিজেপি নেত্রী কী বলছেন!”
নির্বাচনী সভা থেকে হঠাৎ এক অডিও বার্তা চালু করেন অভিষেক। এক বিজেপি নেত্রীর অডিও শুনিয়ে তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমান্ড বলেন, “আজ থেকে ১০ দিন আগে দীপা চক্রবর্তী নামে এক বিজেপি নেত্রী এটা বলেছেন। এত দিন হয়ে গেলেও বিজেপি ওর বিরুদ্ধে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তার মানে এতে বিজেপির সমর্থন রয়েছে।”
অভিষেকের শোনানো সেই অডিও বার্তায় এক মহিলাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, তিন মাস পর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে। যদিও অডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি বাংলা হান্ট। তবে আগেও তৃণমূল দাবি করেছিল, কিছুদিন আগে কোচবিহারের দিনহাটায় বিজেপি মহিলা মোর্চার এক নেত্রী এমন বিভ্রান্তিমূলক মন্তব্য করছেন।
আরও পড়ুন: বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি সঙ্গে ৪০ কিমি বেগে ঝড়! আজ দক্ষিণবঙ্গের কোন কোন জেলা ভিজবে? আবহাওয়ার খবর
এই অডিওকে হাতিয়ার করেই বীরভূমের সভা থেকে মোদীকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, “মোদী বলেছেন, ১০ বছর ধরে তাঁর দল ট্রেলার দেখিয়েছে। রান্নার গ্যাস হাজার টাকা, ডিজেল ৯২ টাকা, পেট্রল ১০০ টাকা, কেরোসিন ৭৫ টাকা, ডাল ১৬০ টাকা, তেল ২০০ টাকা! আপনারাই বলুন, এর পরেও কী মোদীর ওই ট্রেলারের সিনেমা আপনারা দেখতে চান?”কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, “দিদি দিচ্ছেন, আর মোদী কেড়ে নিচ্ছেন! লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে দিদি হাজার টাকা করে দিচ্ছেন। আর আধার এবং প্যানের লিঙ্ক করানোর নামে সেই টাকা নিয়ে নিচ্ছেন মোদী।”