বিচারপতি বসুর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ! চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা

Published on:

Published on:

calcutta high court(87)
Follow

বাংলাহান্ট ডেস্ক: এসএসসি আবহেই ফের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সম্প্রতি পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতির জেরে ৩১৩ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সেই মামলায় এবার নয়া মোড়। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে এবার ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করল জিটিএ (Gorkhaland Territorial Administration)।

হাইকোর্টের একক বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ | Calcutta High Court

পাহাড়ে শিক্ষক দুর্নীতির (Recruitment scam case) অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলছিল হাইকোর্টে। সম্প্রতি সেই মামলাতে ৩১৩ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ। বুধবার বিচারপতি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এই চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন। এবার সেই নির্দেশের বিরোধীতা করে মামলা দায়ের হল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে।

সূত্রের খবর, জিটিএ-র দাবি, সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ে বেশ কিছু অসঙ্গতি রয়েছে এবং সেই কারণে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে মামলা দায়ের হয়েছে। উল্লেখ্য, জিটিএ-র নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলে অর্থাৎ পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলা দীর্ঘদিন ধরে শুনানি চলছিল কলকাতা হাইকোর্টে। বেআইনিভাবে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছিল। এর আগে এই মামলাতেই ৩১৩ জন শিক্ষকের বেতন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।

দীর্ঘ শুনানির পর বিচারপতি বসু নির্দেশ দেন, ৩১৩ জন শিক্ষকের চাকরি আর থাকবে না। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এবং সত্যতা সামনে আনার জন্য সিআইডি তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।

উল্লেখ্য, এই মামলাতেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিনয় তামাং, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ হাবড়ার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা বুবাই বোস, স্কুল পরিদর্শক প্রাণগোবিন্দ সরকার-সহ রাজন্যা হালদারের স্বামী প্রান্তিক চক্রবর্তীরও নাম সামনে এসেছিল।

Calcutta High Court

মূলত বেআইনিভাবে নিয়োগের অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের হয়েছিল। যোগ্যতা যাচাই না করেই নিয়োগের অভিযোগ উঠেছিল। নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে হাইকোর্ট CBI তদন্তের নির্দেশ দেয়। যোগ্য-অযোগ্যের তালিকা প্রকাশেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। হাইকোর্টের একক বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। তবে লাভের লাভ কিছু হয়নি। ডিভিশন বেঞ্চও বিচারপতি বসুর নির্দেশই বহাল রাখে। এরপর সুপ্রিম কোর্টে গেলে সর্বোচ্চ আদালত মামলাটি ফের হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেয়।

আরও পড়ুন: বছর শেষের আগে ঊর্ধ্বমুখী সোনার দাম! মধ্যবিত্তের মাথায় হাত, আজ ১ গ্ৰাম হলুদ ধাতুর দর কত হল

এই মামলায় রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি বসুর প্রশ্ন ছিল, ‘রাজ্য কেন এদের ভার বহন করবে?এদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কী?’ যাঁদের বিরুদ্ধে বেআইনি নিয়োগের অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের চাকরি বাতিলের পাশাপাশি সিআইডি তদন্ত চলবে বলে জানিয়েছিলেন বিচারপতি।