বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রায়ই কেটে থাকেন লটারির (Lottery) টিকিট। কিন্তু কোনোদিন কপালে কুটোটি জোটেনি। আর এবার এক টিকিটেই লাগবি তো লাগ, সোজা প্রথম পুরস্কার! চা বিক্রেতা থেকে কোটিপতি একটি লটারির টিকিটের দৌলতে। না এ কোনও সিনেমার গল্প নয়, ঘোর বাস্তব। নিজের ভাগ্যকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না পূর্ব বর্ধমানের জলি বিয়ষী।
এক টিকিটেই ঘুরে গেল ভাগ্যচক্র; লটারিতে ১০০ লাখ জিতলেন বর্ধমানের গৃহবধূ (Lottery)
এ যেন স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো। কারণ পেশায় তিনি ছিলেন চা বিক্রেতা। পাশাপাশি অভাবের তাড়না ছিল প্রতিদিনের সঙ্গী। সেখানে দাঁড়িয়ে মাত্র ৩৫ টাকার বিনিময়ে গোটা জীবনের ছন্দই বদলে গেল। চা বিক্রেতা মহিলা এখন কোটিপতি। লটারি (Lottery) প্রথম পুরস্কার জিতে আত্মহারা জলি বিষয়ী। ঘটনাটি ঘটেছে বর্তমানে মাধবডিহি থানার কাইতি এলাকায়।

আরও পড়ুন: ট্রেনের শেষ কামরার পিছনের এই ক্রসই নিরাপত্তার চাবিকাঠি, কি কাজে লাগে? ৯০% মানুষই বলতে পারবেন না
রায়নার উচালনের বাসিন্দা চা বিক্রেতা হিসেবে পরিচিত জলি বিষয়ী। তার স্বামী চালকলে কাজ করেন। বাড়িতে রয়েছে দুই সন্তান। বড় ছেলে ক্লাস টেনে পড়ে। ছোট ছেলে পড়ে প্রথম শ্রেণীতে। অভাবকে সঙ্গী করে দুই কামরার ভাড়াবাড়িতে সংসার করেন ওই দম্পতি।
দীর্ঘদিন সংসারে অভাব রয়েছে। তবে ছেলেদের ভালো রাখার জন্য এবং একটু সচ্ছল হওয়ার আশা বরাবর দেখেছেন তারা। এবার সেই স্বপ্ন একেবারে বাস্তবে হয়ে গেল। জলি মাঝেমধ্যে লটারি টিকিট কাটেন। স্বামী তুলোর লটারি টিকিটের নেশাও রয়েছে। তবে গত শনিবার জলি একটি লটারি টিকিট কেটেছিলেন। কিন্তু সেরকম ভাবে কোন কিছুই আশা করেননি অন্যবারের মতো।
তবে রবিবার জলি নিজের কাজে ব্যস্ত থাকে। সেই দিনই এই লটারি (Lottery) টিকিটের পুরস্কার ঘোষণা হয়। সেখানেই দেখা যায় প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। যে দোকান থেকে এই টিকিট কেটেছিলেন সেই দোকানের মালিক ফোন করে গোটা বিষয়টি জানান। প্রথমে অবিশ্বাস হলেও পরে তারা বিশ্বাস করে। এরপরে আনন্দে কেটে ফেলেন জলি। তিনি জানান এই টাকা দিয়ে একদিকে ছেলেদের ভবিষ্যতের জন্য রাখবে। অপরদিকে কিছু টাকা দিয়ে একটা বাড়ি করার পরিকল্পনা করছেন।












