বাংলাহান্ট ডেস্ক: ক্রিসমাসের প্রাক্কালে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে নতুন এক যুগান্তকারী অধ্যায় লিখল ইসরো (ISRO)। বুধবার সকাল ৮টা ৫৪ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে ইসরোর সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট এলভিএম৩ (LVM3-M6) সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এটি দেশের মাটি থেকে উৎক্ষেপিত এযাবৎকালের সবচেয়ে ভারী বিদেশি উপগ্রহটিকে নির্ধারিত কক্ষপথে স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।
সফলভাবে ‘বাহুবলী’ উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে ইতিহাস গড়লো ইসরো (ISRO):
এই মিশনে রকেটটি বহন করেছিল মার্কিন সংস্থা AST SpaceMobile-এর অত্যাধুনিক যোগাযোগ উপগ্রহ BlueBird 6। এই উপগ্রহটির ওজন প্রায় ৫৭০০ কিলোগ্রাম। এটি একটি যুগান্তকারী প্রযুক্তির অধিকারী, যা যেকোনো সাধারণ স্মার্টফোনে সরাসরি মহাকাশ থেকে ব্রডব্যান্ড সংকেত পাঠাতে সক্ষম। এর ২২০০ বর্গমিটার অ্যারে অ্যান্টেনা পূর্বের উপগ্রহগুলির তুলনায় দশ গুণ বেশি তথ্য সংরক্ষণ ও প্রেরণের ক্ষমতা রাখে।
আরও পড়ুন:কেরল থেকে ছত্তীসগঢ়-মধ্যপ্রদেশ! খসড়া ভোটার তালিকায় বাদ পড়ল কত নাম? সামনে এল পরিসংখ্যান
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই সাফল্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, “মহাকাশে ভারতের এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি… এলভিএম৩-এম৬-এর সফল উৎক্ষেপণ, এর মাধ্যমে ভারতের মাটি থেকে উৎক্ষেপিত সবচেয়ে ভারী উপগ্রহ আমেরিকার ব্লুবার্ড ব্লক-২-কে তার নির্ধারিত কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছে। এটি ভারতের মহাকাশ যাত্রায় এক গর্বের মাইলফলক।”
What a moment! Relive the #LVM3M6 liftoff highlights here:
For More information Visit:https://t.co/PBYwLU4Ogy
#LVM3M6 #BlueBirdBlock2 #ISRO #NSIL pic.twitter.com/hc4SoI5DI5— ISRO (@isro) December 24, 2025
৬৪০ টন ওজনের এই তিন-পর্যায়ের রকেটটিকে ‘বাহুবলী’ নামে অভিহিত করা হয়। গত নভেম্বরে এলভিএম৩-এর পূর্ববর্তী মিশন (এম৫) ইসরোর নিজস্ব সবচেয়ে ভারী উপগ্রহ সিএমএস-০৩ কে সফলভাবে কক্ষপথে বসিয়েছিল। এবারের সাফল্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক উপগ্রহ উৎক্ষেপণ বাজারে ভারতের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করল।

আরও পড়ুন:শেষ মুহূর্তে কমিশনে নালিশ চন্দ্রিমার, কাদের নোটিশ না পাঠানোর দাবি? স্পষ্ট করল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল
এই মিশনটি কেবল একটি প্রযুক্তিগত সাফল্যই নয়, বরং ‘আত্মনির্ভর ভারত’ অভিযানের দিক থেকেও তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এটি প্রমাণ করে যে ভারী ও জটিল বিদেশি উপগ্রহ উৎক্ষেপণের ক্ষেত্রে ভারত বিশ্ববাজারে একটি নির্ভরযোগ্য ও শক্তিশালী অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। ইসরোর বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের অক্লান্ত পরিশ্রম এই সাফল্যের পিছনে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে।












