বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিধায়ক এবং রাজ্য বিজেপির অন্যতম মুখ শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মসূচি করার কথা ঘোষণা করলেই প্রায়শই অনুমতি নিয়ে সমস্যা তৈরি হয় তাঁর। সেই কারণে বহু ক্ষেত্রেই আদালতে মামলা করে তবেই সভা করতে হয় তাঁকে। গত সাড়ে চার বছরে এভাবেই মোট ১০১টি মামলা করেছেন শুভেন্দু।
ঝাড়খণ্ড ও গঙ্গাসাগরে সভার অনুমতির জন্য হাই কোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)
এবার গঙ্গাসাগর ও ঝাড়গ্রামে সভার অনুমতির জন্যও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে হল শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) কে । মামলার শুনানির পর বুধবার শর্তসাপেক্ষে গঙ্গাসাগরে কর্মসূচির অনুমোদন দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের এজলাস জানায়, দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সভা করা যাবে। সেখানে সর্বোচ্চ সাত হাজার সমর্থক উপস্থিত থাকতে পারবেন। পাশাপাশি ৫০টি মাইক ব্যবহারের অনুমতিও দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, ঝাড়গ্রামে আগামী ২৮ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভার জন্য মহকুমা শাসককে অনুমতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুনানিতে বিচারপতি কৃষ্ণা রাও জানান, পুলিশের কাছ থেকে ছাড়পত্র না পাওয়ায় এখনও পর্যন্ত মহকুমা শাসক অনুমোদন দেননি। পুলিশের সেই ছাড়পত্র বিবেচনার শেষ সময়সীমা ২৬ ডিসেম্বর।
কিন্তু সমস্যার জায়গা ছিল অন্যত্র। বুধবারই ছিল কলকাতা হাইকোর্টে শীতকালীন ছুটির আগের শেষ কাজের দিন। যদি ২৬ ডিসেম্বরের পর অনুমতি না দেওয়া হত, তাহলে মামলাকারীর আর আদালতে যাওয়ার সুযোগ থাকত না। কারণ অবসরকালীন বেঞ্চ বসবে ২৯ ডিসেম্বর। এই অদ্ভুত পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই আদালত সরাসরি সভার অনুমতি দেওয়ার নির্দেশ দেয়।

এদিকে, মঙ্গলবার এক সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) জানান, শুধু জনসভা বা মিছিল নয়, পুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দিতেও তাঁকে মামলা করতে হয়েছে। তাঁর দাবি, প্রশাসনিক অনুমতির অভাবে প্রায় প্রতিটি কর্মসূচিতেই আদালতের সাহায্য নিতে হচ্ছে। এই ঘটনাকে ঘিরে আবারও রাজ্যে সভা-মিছিলের অনুমতি নিয়ে বিতর্ক নতুন করে সামনে এল।












